@Bibhutiranjan
আমি একজন রিকসা চালক রিকসা চালিয়েই দিনআনি দিন খাই, হটাৎ একদিন এক গার্মেন্টস কর্মি রাবেয়ার সাথে পরিচয় হয় আমার,, প্রতিদিন রাত ১০ টায় গার্মেন্টস ছুটি হলে ওকে আমি ওর বাসায় পৌছে দেই এভাবে কেটে যায় ৬ মাস তারপর আমি তাকে একদিন বিয়ের প্রস্তাব দিলে ও মুচকি হেসে ওর বড় আপুর সাথে আমাকে কথা বলতে বলে,
তাই একদিন ছুটির দিন আমি ওর বড় আপুর সাথে কথা বললে তিনিও আমাকে পছন্দ করেন এবং আগামী শুক্রবার বিয়ের দিন ঠিক করেন, আমিও ব্যাস্ত হয়ে পরি বিয়ের আয়োজন করতে, মহাজনের কাছে গিয়ে ৫০০০ টাকা ধার করে মটামুটি ছোটখাটো ধুমধাম করেই শেষ হয় আমাদের বিয়ে, রাবেয়া বউ হয়ে আসে আমার কুড়ে ঘরে, তারপর থেকে টেনে টুনে মোটামুটি সুখেই কাটছিলো আমাদের দিনগুলো,, একদিন আমার রিকসা চালিয়ে ঘরে ফিরতে একটু রাত হয়ে গেলো, ফিরতেই রাবেয়া দৌড়ে এসে আমাকে জাপটে ধরলো,
কি ব্যাপার?
কি হইছে রাবু?
রাবেয়া আমার কানে কানে বল্লো সে মা হতে চলেছে, আমি খুশিতে আত্ব্যহারা হয়ে ওকে কোলে তুলে নাচতে লাগলাম পাসের ঘরের ভাবি আমার পাগলামো দেখে হাসতে শুরু করলেন তা দেখে আমি আর রাবেয়া দুজনেই লজ্জা পেয়ে গেলাম,, তারপর রাবেয়ার ডেলিভারির সময় ঘনিয়ে এলে আমি চিন্তিত হয়ে পরি অনেক টাকার দরকার, আমি দিনরাত রিকসা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরি টাকা যোগানোর জন্যো,আজকে রাবেয়ার ডেলিভারি হবে ডাক্তার বলেছে সিজার করতে হবে অনেক টাকা লাগবে তাই ভোরের আযানের সাথে সাথেই রিকসা নিয়ে বের হই, টাকা যোগারের জন্যো, এক পথিক আমায় ডাকলো এই রিকসা যাবে? কোথায় জাবেন সার? ধনমন্ডি? যাবো ১০০ টাকা লাগবে, কেনো এতো কেনো? আজকে আমার বউয়ের ডেরিভারি হবে টাকা লাগবে অনেক সার, তাই??? আচ্ছা আমি তোমাকে ২০০ টাকা দেবো তবে তারাতারি যেতে হবে বলেই ভদ্রলোক আমার রিকসায় উঠে বসলেন, কিছুদুর যাওয়ার পর হঠাৎ ভদ্রলোকটি লাফিয়ে রিকসা থেকে নেমে পালিয়ে গেলেন, পেছনে ঘুরে তাকাতেই পুলিশ এসে আমাকে বেধড়ক পেটাতে লাগলেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার হাতে হাত কড়া লাগিয়ে থানায় নিয়ে বল্লেন আমার রিকসায় অবৈধ অস্ত্র পাওয়া গেছে তাই আমাকে চালান করে দিল কোর্টে আমার চিৎকার আর আকুতি কেউ শুনলো না, আজ পাচ বছর হলো আমি জেলখানায় নিরঅপরাধ হয়ে বিনা বিচারে জেল খাটছি ৭ বছরের সাজা হলো আমার, শুনেছি আমার এ কথা শুনে কষ্টে রাবেয়ার ডেলিভারির সময় রাবেয়া আমাকে ছেড়ে চিরদিনের মতো চলেগেছে ওপারে শান্তির নিবাসে, আল্লার কাছে, তবে স্মৃতি হিসাবে রেখেগিয়েছিলো একটি কন্যা সন্তান, পাসের বাড়ির ভাবিই তাকে পাঁচটি বছর লালন পালন করেছে, আজ আমার মেয়েটি আমাকে জেলখানায় দেখতে এসেছিল ওর নিজের হাতে আমাকে খাইয়ে দিচ্ছিল তখন আমি চিৎকার করে বলেছিলাম আমার মেয়ের কাছে আমি আজো সেই নিষ্পাপ পিতা।>>>
(সংগৃহীত)
*******((((((((পিতৃ ঋণ)))))))*******
"বাবা তুমি তো বলেছিলে পিতৃ ঋণ কোনদিন শোধ হয় না। তুমি ছাব্বিশ বছরে আমার পেছনে যত টাকা খরচ করেছো তুমি কি জানো আমি আগামী তিন বছরে সে টাকা তোমায় ফিরিয়ে দিতে পারবো"।
বাবা : ( কিছুটা মুচকি হেসে) "একটা গল্প শুনবি?"
ছেলেটা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। নিচু স্বরে বললো-
"বলো বাবা শুনবো......"
তোর বয়স যখন চার আমার মাসিক আয় তখন দু হাজার টাকা। ওই টাকায় সংসার চালানোর কষ্ট বাড়ির কাউকে কখোনো বুঝতে দেইনি। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে সব সময় চেষ্টা করেছি তোর 'মা কে 'সুখী করতে। তোকে যেবার স্কুলে ভর্তি করলাম সেবার ই প্রথম আমরা দুজন- আমি-আর তোর মা পরিকল্পনা করেছি আমরা তোর পড়ার খরচের বিনিময়ে কি কি ত্যাগ করবো।
সে বছর তোর মাকে কিছুই দিতে পারিনি আমি। তুই যখন কলেজে উঠলি আমাদের অবস্থা তখন মোটা মুটি ভাল। কিন্তু খুব কষ্ট হয়ে
গেছিল যখন তোর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ঔষধ কেনার জন্য রোজ রোজ ওভারটাইম করে বাসে করে পায়ে হেটে ঘামে ভিজে বাড়ি ফিরতে খুব দুর্বিষহ লাগতো। কিন্তু কখোনো কাউকে বুঝতে দিইনি এমনকি তোর মা কেও না।
একদিন শো রুম থেকে একটা বাইক দেখে আসলাম। সে রাতে আমি স্বপ্নেও দেখেছিলাম আমি বাইকে চড়ে কাজে যাচ্ছি। কিন্তু পরের দিন তুই বায়না ধরলি ল্যাপটপ এর জন্য। তোর কষ্টে আমার কষ্ট হয় বাবা। আমি তোকে ল্যাপটপ টা কিনে দিয়েছিলাম। আমার তখনকার এক টাকা তোর এখন এক পয়সা! কিন্তু মনে করে দেখ এই এক টাকা দিয়ে তুই বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করেছিস। ব্রান্ড নিউ মোবাইলে হেড ফোন কানে লাগিয়ে সারা রাত গান শুনেছিস। পিকনিক করেছিস, ট্যুর করেছিস, কন্সার্ট দেখেছিস। তোর প্রতিটা দিন ছিল স্বপ্নের মতো।
আর তোর একশ টাকা নিয়ে আমি এখন সুগার মাপাই । জানিস আমার মাছ খাওয়া নিষেধ, মাংস খাওয়া নিষেধ, কি করে এত টাকা খরচ করি বল! তোর টাকা নিয়ে তাই আমি কল্পনার হাট বসাই। সে হাটে আমি বাইক চালিয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়াই। বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা দেখতে যাই। তোর মায়ের হাত ধরে তাঁত মেলায় ঘুরে বেড়াই।
বাবারা নাকি "খাড়ুশ টাইপের" হয় । আমিও আমার বাবাকে তাই ভাবতাম । পুরুষ থেকে পিতা হতে আমার কোনো কষ্ট হয়নি, সব কষ্ট তোর মা সহ্য করেছে। কিন্তু বিশ্বাস কর পিতা থেকে দ্বায়িত্বশীল পিতা হবার কষ্ট একজন পিতাই বোঝে। যুগে যুগে সর্বস্থানে মাতৃবন্দনা
হলেও পিতৃবন্দনা কোথাও দেখেছিস ?
পিতৃবন্দনা আমি আশাও করি না। সন্তানের প্রতি ভালোবাসা কোনো পিতা হয়তো প্রকাশ করতে পারে না,তবে কোনো পিতা কখনোই সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্ব পালনে বিচ্যুত হয় না। আমি তোর পেছনে আমার যে কষ্টার্জিত অর্থ ব্যায় করেছি তা হয়তো তুই তিন বছরে শোধ দিতে পারবি...
কিন্তু যৌবনে দেখা আমার স্বপ্ন গুলো ?
যে স্বপ্নের কাঠামোতে দাঁড়িয়ে তুই আজ তোর ঋণশোধের কথা বলছিস.
সেই স্বপ্ন গুলো কি আর কোনোদিন বাস্তব রুপ পাবে ?
আর যদি বলিস বাবা আমি তোমার টাকা না তোমার ভালবাসা তোমায় ফিরিয়ে দেব, তাহলে বলবো বাবাদের ভালবাসা কখনো ফিরিয়ে দেয়া যায় না।
তোকে একটা প্রশ্ন করি, ধর তুই আমি আর তোর খোকা তিন জন এক নৌকায় বসে আছি। হটাৎ নৌকা টা ডুবতে শুরু করলো....
যে কোন একজনকে বাঁচাতে পারবি তুই।
কাকে বাঁচাবি ?
( ছেলেটা হাজার চেষ্টা করেও এক চুল ঠোঁট নড়াতে পারছেনা! )
উত্তর দিতে হবে না। ছেলেরা বাবা হয়, বাবা কখনো ছেলে হতে পারে না।
পৃথিবীতে সব চেয়ে ভারী জিনিস কি জানিস?
পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ!
আমি শুধু ঈশ্বরের কাছে একটা জিনিস চাই।
আমার শেষ যাত্রায় যেন আমি আমার ছেলের কাঁধে চড়ে যাই। তাহলেই তুই একটা ঋণ শোধ করতে পারবি -
তোকে কোলে নেবার ঋণ।
কিভাবে জীবন পাতা থেকে আয় করবেন
জীবনপাতা থেকে আয় করা একদম সোজা। আপনি নিজে জীবনপাতায় একাউন্ট করুন। এবার আপনার রেফারেল লিংক দিয়ে বন্ধুদের ইনভাইট করুন। প্রত্যেক সাইনআপে আপনি পাবেন ৮ টাকা।
https://www.jibonpata.com/?ref=Bibhutiranjan
Business man at won business