🌍 ফরেক্স মার্কেটের ইতিহাস (Forex er Itihas)
🔁 ১. বিনিময় প্রথা (Barter System) – প্রাচীন যুগ
প্রাচীনকালে মানুষ পণ্য বিনিময় করে লেনদেন করত। এক জিনিসের বদলে আরেক জিনিস দিত – একে বলে Barter System।
তখন মুদ্রা ছিল না, তাই ফরেক্স বলতে কিছু ছিল না।
🪙 ২. ধাতব মুদ্রার প্রচলন – প্রাচীন সভ্যতা
খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে লিডিয়া (বর্তমান তুরস্ক) রাষ্ট্র প্রথম ধাতব মুদ্রা চালু করে।
এরপর সোনা, রূপা ইত্যাদি ধাতব মুদ্রা ব্যবহৃত হতো, যা বিভিন্ন দেশে ভিন্ন মানে লেনদেন হতো।
💰 ৩. গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড (Gold Standard) – ১৮৭৫ সাল
১৮৭৫ সালে Gold Standard চালু হয়।
প্রত্যেক দেশের মুদ্রার মান নির্ধারণ হতো সোনার রিজার্ভ অনুযায়ী।
এই পদ্ধতি আন্তর্জাতিকভাবে মুদ্রা বিনিময় সহজ করে তোলে।
🌐 ৪. ব্রেটন উডস চুক্তি (Bretton Woods Agreement) – ১৯৪৪ সাল
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ৪৪টি দেশ ব্রেটন উডস চুক্তি করে।
এতে ঠিক করা হয়:
ডলার হবে প্রধান রিজার্ভ মুদ্রা।
১ আউন্স সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় $৩৫ ডলার।
অন্যান্য দেশের মুদ্রা ডলারের সাথে পেগ করা হয়।
🧨 ৫. ফিক্সড রেটের পতন ও ফ্লোটিং এক্সচেঞ্জ রেট – ১৯৭১ সাল
১৯৭১ সালে আমেরিকা Gold Standard বাতিল করে।
তখন থেকে মুদ্রার মান চাহিদা ও সরবরাহের উপর নির্ভর করে উঠানামা করে, একে বলে Floating Exchange Rate System।
💻 ৬. আধুনিক ফরেক্স মার্কেট – ১৯৯০ এর দশক
ইন্টারনেট আসার পর সাধারণ মানুষও ফরেক্স ট্রেড করতে পারে।
আগে শুধুমাত্র বড় ব্যাংক, ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এবং গভার্নমেন্ট ফরেক্স ট্রেড করতো।
১৯৯৬ সালের পর থেকে অনলাইন ব্রোকারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ট্রেডাররাও ফরেক্সে অংশ নিতে পারে।
📊 আজকের ফরেক্স মার্কেট
এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে লিকুইড বাজার।
প্রতিদিন প্রায় ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি লেনদেন হয়।
প্রধান মুদ্রা জোড়া: EUR/USD, GBP/USD, USD/JPY, XAU/USD (গোল্ড) ইত্যাদি।
Sensitive Skin (সংবেদনশীল ত্বক) খুব সহজে লাল হয়ে যায়, চুলকায়, জ্বালা করে, কিংবা র্যাশ হয়। এই ত্বকের যত্ন একটু বেশি সাবধানতার সঙ্গে নিতে হয়। নিচে সংবেদনশীল ত্বকের যত্নের বিস্তারিত টিপস দেয়া হলো:
🧼 ১. মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করুন
হার্শ বা হার্ড ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না।
ফ্র্যাগরেন্স ফ্রি, অ্যালকোহল ফ্রি এবং pH-balanced ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
দিনে ২ বার মুখ ধুয়ে নিন – সকালে ও রাতে।
উদাহরণ: Cetaphil Gentle Cleanser / Bioderma Sensibio H2O
🧴 ২. ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
সংবেদনশীল ত্বক সহজেই ড্রাই হয়ে যায়, তাই প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
Fragrance-free, non-comedogenic এবং hypoallergenic প্রোডাক্ট বেছে নিন।
উদাহরণ:
CeraVe Moisturizing Lotion / Avene Skin Recovery Cream
☀️ ৩. সানস্ক্রিন লাগান
রোদে সংবেদনশীল ত্বক দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Mineral sunscreen (Zinc oxide বা Titanium dioxide) বেছে নিন, কারণ এগুলো কম রিঅ্যাক্ট করে।
উদাহরণ:
La Roche-Posay Anthelios Mineral Sunscreen
🚫 ৪. হার্শ স্ক্রাব/এক্সফোলিয়েটর এড়িয়ে চলুন
স্ক্রাব করলে ত্বকে জ্বালা বা র্যাশ হতে পারে।
যদি এক্সফোলিয়েট করতে চান, তবে খুব হালকা ও chemical exfoliant (PHA) ব্যবহার করুন, সেটা সপ্তাহে ১ বার।
🌿 ৫. প্রাকৃতিক জিনিসও সাবধানে ব্যবহার করুন
অনেকেই মনে করেন প্রাকৃতিক মানেই নিরাপদ – কিন্তু লেবু, বেসন, দুধ, হলুদ এসব অনেক সময় সংবেদনশীল ত্বকে জ্বালা দিতে পারে।
আগে প্যাচ টেস্ট করুন।
🧪 ৬. নতুন প্রোডাক্ট ব্যবহারে সতর্ক থাকুন
নতুন কিছু ব্যবহার করার আগে হাতের বা কানের পেছনে প্যাচ টেস্ট করুন ২৪ ঘণ্টা।
যদি জ্বালা, লালচে ভাব বা র্যাশ হয়, তাহলে সেটা ব্যবহার করবেন না।
🥗 ৭. খাবারে যত্ন নিন
অতিরিক্ত ঝাল, দুধজাত খাবার বা ফাস্টফুড অনেক সময় সংবেদনশীল ত্বকে রিঅ্যাকশন বাড়ায়।
প্রচুর পানি খান, ফলমূল ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
🛌 ৮. স্ট্রেস কমান ও ঘুম ঠিক রাখুন
স্ট্রেস বা ঘুম কম হলে ত্বকের সেনসিটিভিটি বেড়ে যায়।
প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
শেষ কথা:
সংবেদনশীল ত্বকের যত্ন মানে হচ্ছে সহজ, মৃদু, কম কেমিক্যালযুক্ত ও নিয়মিত যত্ন। আপনার ত্বকের প্রতিক্রিয়া বুঝে চলুন – তবেই আপনি সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারবেন।
🤩
Businessman