টাকা, মোবাইল স্ক্রিনে ২৮ দিন বেঁচে থাকতে পারে করোনাভাইরাস

commentaires · 501 Vues

টাকা, টাচ-স্ক্রিন মোবাইলের উপরিভাগ, কাচ, বাস কিংবা ক্যাবের হাতলে ২৮ দিন বেঁচে থাকতে পারে করোনাভাইরাস।

অস্ট্রেলিয়ার সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিপেয়ার্ডনেসের বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিড ভাইরাস মারাত্মক শক্তিশালী। মসৃণ তলদেশ (সারফেস) যেমন কাচ কিংবা মোবাইল স্ক্রিনে অথবা প্লাস্টিক কিংবা কাগজের টাকায় ঘরের তাপমাত্রায় (২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ২৮ দিন টিকে থাকতে পারে এই ভাইরাস।

ভাইরোলজি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা বলছে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে এক দিনের বেশি ভাইরাস বাঁচে না। শীতকালে এই ভাইরাসের প্রকোপ আরও বেশি বেড়ে যাওয়ার কথা, বলছে গবেষণা। তবে গোটা গবেষণাই অন্ধকারে করা হয়েছে যাতে অতিবেগুনি রশ্মির কোনও প্রভাব না থাকে। সরাসরি সূর্যালোক ভাইরাসকে দ্রুত নিষ্ক্রিয় করে দিচ্ছে, এমনও জানিয়েছেন তাঁরা।

বিজ্ঞানীদের দাবি, তুলনামূলক কম তাপমাত্রায় বেঁচে থাকে এই ভাইরাস। এই গবেষণা সংস্থার ডেপুটি ডিরেক্টর ডেবি ইগলসের বক্তব্য, “গবেষণা বলছে, সারফেসে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতার স্থায়িত্ব যা মনে করা হচ্ছিল, তার চেয়ে আরও বেশি। তাই বার বার হাত ধোওয়া এবং সারফেস স্যানিটাইজের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।’’

করোনা আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে সরাসরি এলে কফ-কাশি, কথা বলা, গান গাওয়া এবং শ্বাসের মাধ্যমেও অপর ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। পৃষ্ঠতলে ভাইরাস কণা আটকে বসলে সারফেসেও টিকে থাকতে পারে তা। ভাইরাসের সংক্রমণ ফোমাইটের ভূমিকা রয়েছে, উল্লেখ করা হয়েছে এ কথাও

কোভিড রুখতে প্রধান হাতিয়ার মাস্ক, বলছেন চিকিৎসকরা

অগস্টে কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি পরীক্ষা করেছেন। একাধিক সারফেসের (কাচ, কাঠ, কাপড়, মোবাইলের স্ক্রিন) উপর এই পরীক্ষা করা হয়েছে। সেটি বলছে, তুলনামূলক ঠান্ডা, কম আর্দ্র আবহাওয়ায় পাঁচ থেকে সাত গুণ বেশি সময় টিকে থাকতে পারে এই ভাইরাস।

যদিও সারফেস থেকে সংক্রমণের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা হলেও সংক্রমণ ছড়াতে কতটা ভাইরাস প্রয়োজন তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন এখনও। সারফেসে কত ক্ষণ ভাইরাস বেঁচে থাকছে, তা নিয়েও আরও গবেষণার প্রয়োজন, জানান ইগলস।

মোবাইল ফোন, ব্যাঙ্ক এটিএম, বিমানবন্দরের চেক-ইন কিয়স্কে সবচেয়ে বেশি মানুষের সংস্পর্শ ঘটে। এগুলি নিয়মিত স্যানিটাইজ করা প্রয়োজন। সাধারণ ফ্লুয়ের চেয়েও এই ভাইরাস বেশি ক্ষণ বেঁচে থাকে (প্লাস্টিক কিংবা ধাতব) টাকা বা মুদ্রায়। টাকা হাতে হাতে ঘুরছে, নানা জায়গায় ঘুরছে, এটাও একটা বড় কারণ সংক্রমণের, গবেষণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে সেটিরও।

নন-পোরাস সারফেস বা মসৃণ তলদেশে (যেমন কাচ, টাচ স্ক্রিন মোবাইলের স্ক্রিন) ভাইরাস বেশি ক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে। কাপড় (পোরাস সারফেস)-এ ভাইরাস তুলনামূলক কম সময় বাঁচে। কৃত্রিম মিউকাস নানা সারফেসে বসিয়ে করোনাভাইরাস সেখানে কত ক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে তা দেখা হয়েছে। সেই গবেষণার ফল দেখে চিন্তায় পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা।

জনস্বাস্থ্য চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “বিশ্বব্যাপী যে গবেষণা এখনও পর্যন্ত স্বীকৃত, তা অনুযায়ী এই ভাইরাস পোরাস সারফেসে ৪৮ ঘণ্টা (কাপড়), নন-পোরাস (কাঠ, কাচ, স্টিল) ৭২ ঘণ্টা ও প্লাস্টিকে ৫ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। গবেষণা হয়েছে গবেষণাগারের পরিবেশে। সেখানে সমস্ত বিধি মানা হয়েছে, ছিল না অতিবেগুনি রশ্মিও। তাই এর সঙ্গে সাধারণ ঘরের পরিবেশকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। নিয়ম করে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার বিষয়টিতেই জোর দিতে হবে।”

 
commentaires

সহজ এফিলিয়েট

ঘরে বসে সহজ আয়

ফেসবুক চালাতে পারলেই আয় করতে পারবেন

এখনি শুরু করুন