একদিন এক তৃষ্ণার্ত পুরুষ একটি কুয়োর পাশে গিয়ে পৌঁছাল। সেখানে এক যুবতী কুয়ো থেকে জল তুলছিল।
পুরুষটি তার কাছে গিয়ে বলল, “একটু জল দেবে?”
মেয়েটি হাসিমুখে তাকে জল দিল।
পুরুষটি জল খাওয়ার পর জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কি বলতে পারো, নারীর চরিত্র কেমন হয়?”
এই কথা শুনেই মেয়েটি হঠাৎ চিৎকার করে উঠল, “বাঁচাও! বাঁচাও!”
তার চিৎকার শুনে আশেপাশের গ্রামবাসীরা দৌড়ে কুয়োর দিকে ছুটে এল।
পুরুষটি অবাক হয়ে বলল, “তুমি এটা কেন করছ?”
মেয়েটি বলল, “যাতে গ্রামের লোক এসে তোকে ধরে মারে, এতটাই মারে যাতে তোর জ্ঞান ফিরে আসে।”
এই কথা শুনে পুরুষটি কাঁপতে কাঁপতে বলল, “ক্ষমা করো আমাকে, আমি ভেবেছিলাম তুমি একজন ভালো, সম্মানীয় মেয়ে।”
তারপর মেয়েটি কুয়োর পাশে রাখা কলসির সমস্ত জল নিজের গায়ে ঢেলে দিল, ভিজে গেল পুরোপুরি।
এই সময়েই গ্রামবাসীরা এসে পড়ল।
তারা জিজ্ঞেস করল, “কি হয়েছে? কি হয়েছে?”
মেয়েটি বলল, “আমি কুয়োতে পড়ে গিয়েছিলাম, আর এই ভালো মানুষটি আমাকে বাঁচিয়েছে। ও না থাকলে আমি আজ মরেই যেতাম।”
গ্রামবাসীরা খুব খুশি হয়ে লোকটিকে কাঁধে তুলে নিল, তার প্রশংসা করল, এবং তাকে পুরস্কৃতও করল।
গ্রামবাসীরা চলে গেলে মেয়েটি চুপচাপ লোকটির দিকে তাকিয়ে বলল,
“এবার বুঝলে নারীর চরিত্র কেমন? যদি তুমি একজন নারীকে কষ্ট দাও, তাহলে সে তোমার জীবনকে নরকে পরিণত করে দেবে। কিন্তু যদি তুমি একজন নারীকে সম্মান দাও, ভালোবাসো, তাহলে সে মৃত্যুর মুখ থেকেও তোমাকে বাঁচিয়ে আনবে।”
এই গল্পটি মানবিক সম্পর্ক, সম্মান এবং নারী চরিত্রের অন্তর্নিহিত শক্তি ও গভীরতা বোঝাতে একটি ব্যতিক্রমধর্মী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।