একটা ক্লাস শেষ হলো।
কিছুক্ষণের মধ্যেই পরের ক্লাস শুরু হবে।বেঞ্চে বসে আছি আমরা। হঠাৎ মড় মড় শব্দ কানে আসলো। ?
"আরে! কিসের শব্দ!" মনে মনে ভাবা মাত্রই পাশের জন আমাকে বেঞ্চের দিকে দেখালো সম্ভবত।
ইন্নালিল্লাহ, বেঞ্চের পায়া ভেঙেছে! ক্লাসের মধ্যে একটা শোরগোল পড়ে গেল। "আরে ওঠ তাড়াতাড়ি বেঞ্চ থেকে, পুরো বেঞ্চ ভেঙে পড়বে,তোরাও পড়বি" এরকম কথা-বার্তা চললো কিছুক্ষণ। নিজেদের বেঞ্চ ছেড়ে আমাদের বেঞ্চের কাছে ভিড় করলো অনেক সহপাঠী। আমরা ততক্ষণে নিজেদের বেঞ্চ ছেড়ে উঠে পাশে দাঁড়িয়েছি। সহপাঠীরা কয়েক জন বেঞ্চে বসে দেখলো ভাঙা বেঞ্চের অবস্থাটা কেমন।এতে পায়া আরো ভেঙে গেলো,বেঞ্চটা একদিকে কাত হয়ে গেলো। আমার মেজাজ খারাপ হলো। ?
আমার মেজাজকে আরো খারাপ করতেই কিনা কয়েক জন বেঞ্চের এক পাশে বসে " উইইইইই, উইইইই" করে হৈ-হুল্লোড় শুরু করলো যেন পার্কের ঢেঁকিতে বসেছে! ?
"ভেঙেই যখন গিয়েছে তখন কী আর করার, একটু আনন্দ করুক না হয়" ভেবে আমি চুপ থাকলাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, শ্রেণী শিক্ষক খুব কঠিন প্রকৃতির মানুষ। বেঞ্চটা ভাঙা দেখলে পরের দিন দোষ পড়বে আমাদের ঘাড়ে।তখন জরিমানার সাথে মারও খেতে হতে পারে। এই চিন্তায় আর চুপ থাকতে পারলাম না। অনেকক্ষণ ওদের উই-উই দেখার পরে ওদেরকে কোনোভাবে থামালাম। আনন্দের রেশ শেষ হওয়ার পরে সবাই চিন্তায় পড়ে গেলো।
একটা বুদ্ধি বের করা হলো।কারো কোন দোষ হলো না। কিন্তু একজনের পায়ে একটু ছিলে গেল। স্যার সহানুভূতি দেখালেন। ?
শ্রেণী শিক্ষক ছিলেন আব্দুর রহমান স্যার (স্যারের কাছে মাফ চাই সবাই ? ), পা ছিলে গিয়েছিল শিখার, আর উই-উই করেছিল অনেকে।
Search
Popular Posts