লোকসান দু’ পয়সা

Commenti · 753 Visualizzazioni

গোপাল ভাঁড়ের মজার গল্প

গোপাল একবার নদীর ঘাটে ঘাটের ইজারা নিয়েছিল। নদীর ফেরী ঘাটের ইজারাদার গোপাল ভাড়া ছয় পয়সা থেকে কমিয়ে চার পয়সা করে দিলে- যাতে গরিব লোকদের উপকার হয়। সে বছর দেশের অবস্থাও খুব ভাল ছিল না বলে গোপাল এই ব্যবস্থা নিলে। যাতে গরিব লোকেরা খুশি হয় পরপারে যাতে সুবিধা হয়। তখন একদল ছেলে ইজারাদার গোপালের সঙ্গে দেখা করে বললে, ভাড়া কমানো চলনো না মোটেই। এতে আমাদের খুব আপত্তি আছে। ভাড়া যেমন ছিল ঠিক তেমনিই থাকবে, একেবারেই কমানো চলবে না। এসব করলে একেবারে ভালো হবে না।
    গোপাল তো তাদের কথা শুনে অবাক হয়ে বলে, ভাড়া বাড়ালেই জনসাধারন সচরাচর আপত্তি করে থাকে, কিন্তু ভাড়া কমালে তো কেউ আপত্তি করে না- প্রথম শুনলাম আপনাদের কাছ থেকে। গোপাল তখন তাদের জিজ্ঞেস করলে, ভাড়া কমানোতে আপনাদের এত আপত্তি কেন? লোকসান তো হবে আমার। আপনাদের আপত্তির কারন আমার মাথায় একেবারে ঢুকছে না।
    তখন সেই অদ্ভূত ছেলেগুলো মুখ ব্যাজার করে বললে, তবে শুনুন মশায়, আমরা রোজ সাঁতেরে ওপারে যাই আর রোজই ভাবি ফেরী নৌকায় না গিয়ে সাঁতরে ওপারে যাওয়ার জন্য পারের খরচ বাবদ ছয় পয়সা আমাদের সঞ্চয় হচ্ছে। এখন আপনি ছয় পয়সার জায়গায় ভাড়া চার পয়সা করায় আমাদের যে প্রতিবারে সাঁতরে যাওয়ার জন্যে মাত্র চার পয়সা করে মনের খাতায় জমবে। তা হলে বুঝুন তো, দুপয়সা করে আমাদের লোকসান হচ্ছে। এই লোকসান কেমন করে মিটবে বলুন।
    গোপাল ছেলেদের কথায় না হেসে পারল না।
Commenti

সহজ এফিলিয়েট

ঘরে বসে সহজ আয়

ফেসবুক চালাতে পারলেই আয় করতে পারবেন

এখনি শুরু করুন