১ প্যারালাইসড হওয়া:
আপনি নিশ্চই প্যারালাইসড হওয়া মানুষ দেখেছেন, তারা নিজের ইচ্ছে মত হাত পা নাড়াতে পারে না । আপনি স্বাভাবিক তা সত্তেও ঘুমানোর সময় মাঝে মাঝে প্যারালাইসড হয়ে যান। এটা শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। মোটামোটি সবার সাথেই এমন টা হয়। এটা এমন একটা কান্ডিশন যখন আপনি সচেতন থাকেন কিন্তু বডি নাড়াতে পারেন না বা চোখ ও খুলতে পারেন না। মনে হয় ভূত, জ্বীন বা অন্য কোন শক্তি আমাদের চেপে ধরে রেখেছে ।
২ উচ্চতা বেড়ে যাওয়া:
এবার আপনি খুবই ইন্টারেসটিং একটা ফ্যাক্ট জানতে চলেছেন, আমাদের শরীরেরে উচ্চতা সম্পর্কে এটার জন্য প্রয়োজন হবে একটা দৈর্ঘ্য মাপার টেপ বা ফিতে। রাতে শোবার আগে আপনার উচ্চতা টেপ দিয়ে মেপে নিবেন। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে পুনরায় মাপবেন সকালে দেখবেন আপনার উচ্চতা কিছুটা বেড়ে গেছে তবে খুব বেশি নয়। হাফ ইন্চির মত পার্থক্য হয় । যখন আপনি খাটের উপর শুয়ে থাকেন তখন মাধ্যাকর্ষন বলের প্রভাব স্পাইনের উপর সরাসরি পরে না। সে জন্য স্পাইনের হাড় কিছুটা যায়গা নিয়ে বেড়ে যায়, অর্থ্যাত গ্যাপ গুলা একটু বেড়ে যায়। আবার যখন সকালে ঘুম থেকে উঠেন তখন পূনরায় মাধ্যাকর্ষনের প্রভাবে এবং শরীরে ওজনের ভারে স্পাইনের হাড় গুলোর মাঝে গ্যাপ কমে যায়। এজন্য ঘুম থেকে উঠার কয়েক ঘন্টার মধ্যে আপনার উচ্চতা কমে গিয়ে স্বভাবিক হয়ে যায়।আর এই জিনিস টা আমার আপনার সবার সাথে প্রতিদিনই ঘটে থাকে।
৩ হ্যাপনিক জার্ক:
আমাদের প্রত্যেকের সাথে একবার না একবার অব্যশই এমন হয়েছে যখন আমরা ঘুমাতে ঘুমাতে হঠাৎ ভয় পেয়ে উঠে বসি। ঘুম ভাঙ্গার আগে এমন টা মনে হয় যে আমি কোন আমি কোন খাদের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি বা কোন উচু স্থান হতে পড়ে যাচ্ছি। এটা খুবই সাধারন একটা ব্যাপার একে হ্যাপনিক জার্ক বলা হয়। কিছু মানুষ মনে করেন হ্যাপনিক জার্ক এজন্য হয় ঐ সময়ে আমাদের শরীর ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত হতে থাকে সহজ ভাষায় বললে বলা যায়। জেগে থাকা আর ঘুমানোর মধ্যে ট্রানজিশনাল পিরোডে হ্যাপনিক জার্ক হয় ।
৪ উপকারী হরমোন :
আপনার উচ্চতা কত হবে, আপনাকে কেমন দেখাবে, এই সব হিউম্যান গ্রোথ হরমোনের উপর নির্ভর করে। এটা আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন কেমিক্যাল গুলোর মধ্যে একটা। এটা দিনের বেলাতেও আমাদের মাঝে রিলিজ হয় তবে এটা সবচেয়ে বেশী রিলিজ হয় আমরা যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকি তখন। পরীক্ষায় জানা গেছে রাতে ঘুমানোর সময় সবচেয়ে বেশী রিলিজ হয়। কারণ ঐ সময় আমাদের শরীরের গ্লুকোজ লেভেল কম থাকে। আর এই জন্যই বাচ্চাদের তারাতারি ঘুমাতে দিতে হয়, এতে তাদের শরীর দ্রুত এবং সঠিক ভাবে বৃদ্ধি পায়। যে সব বাচ্চারা কম ঘুমায় তাদের গ্রোথ, যারা বেশী ঘুমায় তাদের থেকে কম হয়। তবে উচ্চতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জিন গত প্রভাব থাকলেও হিউম্যান গ্রোথ হরমোন বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
Search
populaire posts
-
বউ শাশুড়ীর একটি শিক্ষনীয় গল্প
-
কুরআন বড় নাকি রাসুল (সা)
-
কাজী নজরুলের চার বছরের সন্তানের মৃত্যুর করুন কাহিনী
Door Samia Shejuti -
Exploring Generative AI in Software Development: Opportunities & Risks
Door kanhasoft llp -
Probiotics Market Size, Share, Development, Trends, Segments and Forecast 2033
Door Univ Datos