তাহাজ্জুদের নামায পড়লে জ্বীনে ভয় দেখায়, এটি একটি মিথ্যা কথা। বরং সহিহ হাদিসে এসেছে, "সেই সময়ের (তাহাজ্জুদের) সলাতে ফেরেশতাগণ সূর্যোদয় পর্যন্ত উপস্থিত থাকেন।" (তিরমিযি, হাদিস নং ৩৫৭৯; নাসাঈ, হাদিস নং ৫৭২) তাহাজ্জুদের নামায পড়লে শরীরের রোগ দূর হয়! হাদিসে এসেছে, "...এ নামায গোনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে এবং শরীর থেকে রোগ দূর করবে।" (তিরমিযি, হাদিস নং ৩৫৪৯; বায়হাকি, হাদিস নং ৪৮৩৩) আপনি যদি তাহাজ্জুদ সালাত আদায়কারী হন তবে আপনার জন্য সুসংবাদ! আল্লাহ নিজেই তার কিতাবে আপনার প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ বলেন, "যে ব্যক্তি রাতের বেলা সাজদাহরত বা দাঁড়ানো থাকে, আখিরাতের ভয় করে এবং নিজ প্রতিপালকের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে এমনটি করে না?" (সূরা যুমার, আয়াত ৯) যারা নিজের নফসকে গোনাহ থেকে কন্ট্রোল করতে সক্ষম হন না তাদের জন্য এই সালাত। আল্লাহ বলেন, "নিশ্চয়ই রাত্রীজাগরণ প্রবৃত্তি দমনে অত্যন্ত কার্যকর।" (সূরা মুযযাম্মিল, আয়াত ৬) তাহাজ্জুদের দ্বারা জান্নাত লাভ হয়। রাসূল (সাঃ) বলেন, "হে লোকসকল! তোমরা সালামের প্রচলন কর, খাদ্য খাওয়াও, আত্মীয়তা রক্ষা কর এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সালাত (নামায) আদায় কর। তাহলে তোমরা নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে।" (তিরমিযি ৪/৫৬২-৫৬৩, সহিহ)
				 Search			
		
				 Popular Posts			
		
		
		
		
		
	
	
	
	
	




