মেয়েটা যখন ক্লাস এইটে পড়ে, তখন একটা ছেলের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে প্রোপোজ করেছিল! মেয়েটা বর্ণে কালো হওয়ার কারণে ঐ ছেলেটা তাকে রিজেক্ট করে দেয়! কথায় আছে, মেয়েদের বুক ফাঁটে তবু মুখ ফাঁটে না। কিন্তু মেয়েটির মুখ ফেঁটেছিল বলেই হয়তো এই লজ্জার স্বীকার হতে হয়েছে! মেয়েটা কিছুতেই এই বিষয়টা মানতে পারছিল না। এইদিন সারারাত কাঁদল আর মন খারাপ কাঠাল। মেয়েটা নিজের মধ্যে প্রচুর জেদ তৈরি করলো! প্রচুর লেখা-পড়া শুরু করলো। কারণ, তাকে যে অনেক বড় হতে হবে! অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় উপজেলায় প্রথম হয়ে গেল! বাবা-মা জোর করে বিদেশ ফেরত এক ছেলের সাথে মেয়েটার বিয়ে ঠিক করে ফেললো! মেয়েটা যে কালো? কেউ এই মেয়েকে বিয়ে করবে না! তাই, বাবা-মা বিয়েটা ঠিক করলো! কিন্তু মেয়েটা তার বাবা-মাকে জানিয়ে দিল যে, সে নিজ পায়ে না দাড়ানো পর্যন্ত বিয়ে করতে পারবে না। যেই কথা সেই কাজ। জীবন যুদ্ধে নেমে গেল মেয়েটি!
নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়! ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়িয়ে নিজের লেখা-পড়ার খরচ চালাত। বাসা থেকে টাকা চাইতো না। এসএসসি পরীক্ষায় বোর্ড স্ট্যান্ড করলো অঁজপাড়া গাঁয়ের একটা স্কুল থেকে! এরপর মফস্বলের কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষাতেও বোর্ড স্ট্যান্ড! রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশুনা শেষ করে ঐ কালো মেয়েটা এখন হাইকোর্টের জজ!
মেয়েটার ক'দিন আগেই বিয়ে হয়েছে একজন ডিসি’র সাথে। যে ছেলেটা ঐ মেয়ের প্রোপোজ ফিরিয়ে দিয়েছিল সে এখন গার্মেন্টস' এ চাকরী করে!
যারা মানুষকে ফিরিয়ে দেয় তারা কখনো বড় হতে পারে না! যারা আঘাত পেয়ে ফিরে যায় তারাই যুগে যুগে বড় হয়। জীবনে জেদ থাকলে অনেক উঁচুতে উঠা যায়। সবাই তো সুন্দরীদের পেছনেই ছুটে! খোদার সৃষ্টি সবই সমান। সাদা-কালো আপেক্ষিক। নিজের ভেতর প্রচুর জেদ তৈরি করুন। যেখানে হচট খাবেন, সেখান থেকেই উঠে দাঁড়ান! জীবনে ঝড় আসবেই। ব্যর্থতা থাকবেই। জীবনে সবচেয়ে ভালো জায়গায় যেতে চাইলে জেদ করতে শিখুন। আপনি আপনাকে ছাড়িয়ে যান। আপনার সাফল্য নিশ্চিত।
গল্পটি সংগৃহিত ও পরিমার্জিত
আরো পড়তে চাইলে ভিজিট করুন-
www.tkincome.com





