♥স্ত্রীর যেসব গুনাবলির কারণে স্বামীরা তাদের প্রচন্ড ভালোবাসেন। অাশাকরি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।♥ সৎ ও চরিত্রবান স্ত্রী একজন পুরুষের জন্য এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। একজন অসাধারণ জীবনসঙ্গিনীর অনেক উত্তম গুনাবলি হতে পারে... ১. স্বামী বাইরে থেকে ফিরলে সম্ভব হলে দরজাটা নিজেই খুলে দেন। একটি হাসি উপহার দিয়ে দু'জনের মাঝে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আল্লাহ্ কাছে দোয়া চেয়ে তাকে বলেন, আসসালামু আলাইকুম। ২. আপনার জীবনসঙ্গী বাসায় ফেরার পর তাকে ফ্রেশ হয়ে নিতে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এগিয়ে দেন। একটু কষ্ট করে তার জন্য সময়মতো খাবার পরিবেশন করুন। সুসংবাদটি দ্রুত জানান এবং খারাপ সংবাদ থাকলে একটু সময় নিয়ে তারপর বলেন। ৩. স্বামীর নির্দেশনাগুলো শোনেন এবং সাধ্যমতো চেষ্টা করেন যেন তাকে সন্তুষ্টি রাখা যায়। কোন বিষয় নিয়ে স্বামীকে কখনও চাপে রাখবেন না। বরং তার মনে শান্তি দেবার চেষ্টা করুন। ৪. যদি আপনার জীবনসঙ্গী কখনও আপনাকে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলেন, আপনি তখন নিজেকে শান্ত রাখেন। ক্ষেপে যাবেন না, আপনি তখন ধরেই নেন হয়ত আপনাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে। ৫. জীবনসঙ্গীর ছোটো ছোটো ভুলগুলো আপনি এড়িয়ে যান এবং তার ভালো কাজগুলোকে উৎসাহিত করুন। তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা করুন। ৬. নিজেকে পরিপাটি ও সুন্দর ভাবে উপস্হাপন করুন স্বামীর সামনে, যা যেমনটি আপনি অন্যকারো সামনে কারও জন্য করেন না। সম্ভব হলে সুগন্ধিও ব্যবহার করুন। ৭. সৌহার্দ্যপূর্ণ ভালোবাসার গলায় স্বামীর সঙ্গে কথা বলুন। যেমন কোমল সুরে আপনি অন্যকোনো পুরুষের সঙ্গে কখনো কথা বলেন না। যাদের বিয়ে করা বৈধ, এমন পুরুষের সাথে যথাসম্ভব করকট কন্ঠে এবং সাধ্যমতো সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলাই ইসলামের শিক্ষা। ৮. আপনার স্বামীর আয় থেকে অতিরিক্ত ব্যয় না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখা। অবর্তমানে আপনি তার সংসারের সবকিছু এমনভাবে দেখাশোনা করেন যেন স্বামীর অপছন্দনীয় কিছু না ঘটে। ৯. স্বামীর যখন খারাপ সময়ের মধ্যদিয়ে যায়, আপনি তার পাশে থাকেন, ধৈর্যধারণ আর সদুপদেশ দিয়ে তাকে ধীরস্হির হয়ে সময় কাটিয়ে ওঠার পথে সাহায্য করুন। ১০. স্বামী আপনার প্রতি সঠিক আচরণ না করলেও ধৈর্য ধরুন। চেষ্টা করুন তাকে উত্তম উপায়ে তার প্রত্যুত্তর দিতে। ১১. তার সন্তানদের ইসলামিক জ্ঞানে বড় করে তুলতে সামর্থের সর্বোচ্চটুকু করুন। নিজেও আন্তরিকভাবে ইসলাম সম্পর্কে শিখুন এবং স্বামী-স্ত্রী দু'জনে মিলে ইসলামকে মেনে চলুন। বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও সচেতন থাকুন নিজেদের ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব ও আচরণ নিয়ে। আল্লাহ-পাক পারিবারিক জিবন কে সৌন্দার্জমোন্ডিত করুক,আমীন।
Buscar
entradas populares
-
বউ শাশুড়ীর একটি শিক্ষনীয় গল্প
-
কুরআন বড় নাকি রাসুল (সা)
-
কাজী নজরুলের চার বছরের সন্তানের মৃত্যুর করুন কাহিনী
Por Samia Shejuti -
Exploring Generative AI in Software Development: Opportunities & Risks
Por kanhasoft llp -
Probiotics Market Size, Share, Development, Trends, Segments and Forecast 2033
Por Univ Datos
Categorías





