18+ post
জনতা: কিরে ধর্ষন করলি কেন?
ধর্ষক: ওর পোষাক ঠিক ছিলনা।
জনতা: তাহলে তো ঠিকই আছে..
--- কিছুদিন পর---
জনতা: কিরে তুই ৫ বছরের বাচ্চা মেয়েটাকে ধর্ষন করলি কেন?
ধর্ষক: (চুপ)
--কিছুদিন পর--
ধর্ষক: উস্তাদ.. উত্তর খুজে পাইছি। ঔ পাশের বাড়ীর মর্জিনার পোশাক ঠিক ছিলনা। তার টাইট পোশাক দেখে আমার মাথা গরম ছিল।
জনতা: মর্জিনার পোষাক ঠিক ছিলনা তাহলে তুই বাচ্চাটারে ধর্ষন করলি কেন?
ধর্ষক: মর্জিনার বাপ যে দারগা। ফাডায়ালাইবো। এই ল্যাইগা গরিবের বাচ্চাটারে শেষ করছি।
জনতা: তাহলে তো ঠিকই আছে.
-কিছুদিন পর - বাংলাদেশের সব মেয়ে পর্দা করে-
জনতা: কিরে এখনতো দেশের সবাই পর্দা করে। এখন কেন বোরখা পড়া মেয়েটাকে ধর্ষন করলি।
ধর্ষক: কি করুম। টিভিতে যে আমেরিকান মাইয়াগো পোশাক দেখে আমার মাথা গরম হয়ে গেছিলো। এই দোষ আমেরিকান মেয়েদের।
জনতা: তাহলে তো ঠিকই আছে.
- কিছুদিন পর- সারা দুনিয়ার সকল ধর্মের মেয়েরা পর্দা করে-
জনতা: কিরে ধর্ষক্ক্যা... এখন তো দুনিয়ার সবাই পর্দা করে এখন কেন ধর্ষন করলি?
ধর্ষক: আমি কি করুম। স্বপ্নে যে সানি লিয়ন আইছিলো।
জনতা: তাইলে কাম স্বপ্নেই সাইরা আসতি।
ধর্ষক: কন কি? ওর যদি এইডস থাকে?? তাইলে তো আমার লাইফ শেষ।
জনতা: তাহলে তো ঠিকই আছে..
-- এই দেশের ধর্ষকেরা ধর্ষন/খুনের পরেও লাইফ পায়। লাইফ নিয়ে ভাবে। --
পাঠক: রকিব মিয়া, তুমি এই পোস্ট করে ইসলামের পর্দা কে অপমান করছো। তুমি নাস্তিক। তোমার বিচার চাই।
রকিব মিয়া: আমি পর্দাকে অপমান করি নাই। আমার পরিবারের মেয়েরা পর্দাকে ভালবাসে এবং পুরোপুরি পর্দা করে। বরং তুমি অপমান করেছো সেইসব আল্লাহভিরু মুসলিম যুবকদের যারা আল্লাহর ভয়ে তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে। হঠাত কোন বেপর্দা নারীকে দেখলে চোখ ফিরিয়ে নেয়। মনে আবেগ বা কামনা তৈরি হলে বিরবিরিয়ে বলে ওঠে, 'আল্লাহুম্মা, ইন্নি আউজুবিকা মিন ফিতনাতুন্নিছা''
তুমি অপমান করেছো, সেই সব পরহেজগার যুবকদের যারা শুধু শরীর নয় মনটাকেও ভার্জিন রাখে।
তুমি অপমান করেছো ইসলামকে। তুমি ধর্ষনের পর ধর্ষিতার দোষ খুজে তুমি প্রমান করতে চেয়েছো ইসলাম ধর্ষিতাকেও শাস্তি দেয়।
যে নারীর কারনে আমাদের জীবন এতো সুন্দর সেই নারীকে যে পশুটা ছিন্নভিন্ন করে খেয়ে গেল, যে তার জীবনটা শেষ করে দিয়ে গেল, সেই পশুর দোষ কমানোর চেষ্টা করে তুমি অপমান করেছো পুরো পুরুষ জাতিকে, পুরো মানব সভ্যতাকে।