বাড়িতে টিভি কেনার আগে কয়েকটা জিনিস একটু মাথায় রাখা ভাল।
Basic TV, Smart TV.Android TV, LED. OLED. HD, Full HD, 4K, UHD, HDR-এর মতো নানান টিভি বাজারে রয়েছে। দিনকে দিন টিভি ইন্ডাস্ট্রি আরও ডেভেলাপ করছে। তাই কয়েকটা বিষয় সম্পর্কে কেনার আগে একটু দেখে নেওয়া ভাল।
স্ক্রিন সাইজ
খুব একটা কঠিন বিষয় নয়, আবার এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। টিভি কোথায় রাখবেন, কতজন মিলে দেখতে চান এটা জানেন নিশ্চয়ই। সেই মতো টিভির সাইজ ঠিক করুন। কত দূরে বসে দেখবেন, সেটা ভেবে সাইজ আর স্ক্রিন রেজোলিউশন দেখে নিন।
স্ক্রিন রেজোলিউশন
টিভির ছবি কতটা শার্প হবে, সেটা বোঝা যাবে রেজোলিউশন দেখলে। আজকাল নানা রেজোলিউশনে টিভি মেলে। 720p, 1080p বা Full HD। আজকাল HDTVs থেকে Ultra HD-র টিভি বানাচ্ছেন অনেক নির্মাতা। তাছাড়া ৪কে টিভিও রয়েছে। তবে Full HD 1080p-টাই সবচেয়ে বাজারে চলে। তবে আরও ভাল পেতে গেলে ট্রাই করুন ৪কে।
রিফ্রেশ রেটস
স্ক্রিনে প্রতি সেকেন্ডে ইমেজ কতবার রিফ্রেশ হচ্ছে, সেটাকে বলে রিফ্রেশ রেট। হার্ৎজ দিয়ে এটা পরিমাপ করা যায়। ৬০, ১২০ এমনকি ১৪৪ হার্ৎজেরও টিভি রয়েছে। রিডিউস মোশন ব্লার আর ইমেজের মধ্যে অনায়াস ফ্লো ভালো হবে তখনই, যখন রিফ্রেশ রেটের পরিমাণ বাড়বে।
এইচডিএমআই পোর্টস
soundbar, Chromecast বা Roku-সেট জলদি হবে যদি বেশি এইচডিএমআই পোর্টস থাকে। যদি ৪কে আলট্রা এইচডি কিনে থাকেন, তাহলে টিভির পোর্ট HDMI 2.0 সাপোর্ট করে কিনা দেখবেন। টিভিতে নুন্যতম ৩টি পোর্ট রয়েছে কি না দেখবেন। স্মার্ট ফিচার্সের থেকেও টিভির সাইজ দেখুন ছোট টিভি কিন্তু অনেক ফিচার্স, আবার ফিচার্স কম, কিন্তু টিভি বড়, তাহলে শেষের অপশন নেওয়াটাই ভাল। আসল ফিচার্সের থেকে স্মার্ট ফিচার্স নিয়ে মাঝেমধ্যেই ভাঁওতাবাজি চলে।
স্পিকার্স
আজকাল বেশিরভাগ টিভিরই বেশ খারাপ স্পিকার। ছোট রুম হলে না হয় ম্যানেজ হয়েই যাবে। পিকচার কোয়ালিটি হয়ত ভালো, কিন্তু আওয়াজ সব মাটি করে দেয়। বড় টিভির সঙ্গে আলাদা টিভি নেওয়াই দরকার।
কালার ডেপথ
কালার কোয়ালিটি নিয়ে অবশ্য কোনও টিভি সংস্থা ছেলেখেলা করে না। কিন্তু দামী টিভি কিনতে গেলে দেখে নেবেন, তা “8 bits per channel” বা তার বেশি রয়েছে কি না। বিশেষ করে ওই পার চ্যানেলের বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা দরকার। ফটো রিয়েলিস্টিক ইমেজ হোক বা চোখের শান্তি, টিভি কি সেটা দিতে পারছে, দেখে নেবেন।
ব্যাকলাইটিং টেকনোলজি
এলসিডি টিভি কেনার প্ল্যানিং করছেন, তাহলে এর কাজকর্ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভাল। কারণ স্ক্রিনের কনট্রাস্টের ওপর কিন্তু অনেক কিছু নির্ভর করে। ব্যাক লাইট নিয়ে মাঝেমধ্যে সমস্যা হয়, আবার কনট্রাস্টের জন্য ব্যাকলাইটও দরকার। দেখে নেবেন।
কার্ভড কি না
কার্ভড টিভি এখনও সেভাবে জনপ্রিয় হয়নি। স্যামসাং অবশ্য কার্ভড টিভির পথেই হেঁটেছে। এটা আপনার চোখের দেখার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। ফ্ল্যাট টিভির দেখেও ছবি শার্প হয়। তবে সমস্যা হল, সামনা সামনি ঠিকঠাক জায়গায় না বসলে ছবি ঘেঁটে যাবে।
স্মার্ট টিভি
ইন্টারনেট কানেক্ট করা যাবে এর সাথে। ওয়াইফাই দিয়ে নেটফ্লিক্সের মতো কিছু অ্যাপও কানেক্ট করা যায় সব অ্যাপ সাপোর্ট নাও করতে পারে।
এন্ডোয়েড টিভি
ইন্টারনেট কানেক্ট করা যাবে এর সাথে। ওয়াইফাই দিয়ে গুগল প্লে স্টোর থেকে যেকোনো অ্যাপ ইন্সটল করতে পারবেন । ওয়াইফাই দিয়ে টিভি দেখতে চাইলে স্মার্ট আন্ডোয়েড টিভি ঘরে আনুন। ভাল মানের টিভি কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুনঃ TV Price in Bangladesh






