ভাগ্য নাকি কর্ম কোনটা ঠিক?


অনেকে ভাগ্যে বিশ্বাসি অনেকে কর্মে, কেউ আবার দুটোতেই বিশ্বাস করে। এবিষয়ে বিস্তারিত লেখা হয়েছে এই আর্টিকেলটিতে

.

অনেকে ভাগ্যে বিশ্বাসি অনেকে কর্মে, কেউ আবার দুটোতেই বিশ্বাস করে। আসলে কোনটা ঠিক? চলুন আসল বিষয়টা জেনে নেই।

যারা একটু অলস প্রকৃতির তারা মনে প্রানে বিশ্বাস করে ভাগ্য সৃষ্টিকর্তার হাতে। তাই তারা কর্মে বেশি আগ্রহী নয়। তারা মনে করে যতই কর্ম করা হোক সেটাই হবে যা ভাগ্যে আছে। অন্যদিকে যারা পরিশ্রমী তারা মনে প্রানে বিশ্বাস করে ভাগ্য নিজের কর্ম দ্বারা পরিচালিত হয়। তারা ভাবে তাদের ভবিষ্যত কেবলমাত্র তাদের কর্ম দ্বারাই পরিবর্তন হবে। তারা কোন ভাবেই ভাগ্য বা তকদির শব্দটাকে মানতে চান না। এই দুই শ্রেনীর মানুষই মুলত আবেগ দ্বারা পরিচালিত।

আবেগ দিয়ে নয়। কথা বলতে হবে তথ্য, উপাত্ত এবং বুদ্ধি দিয়ে। আমরা ৭ টি বিষয়ের উপর পরিপূর্ন বিশ্বাস করলে মুসলিম হতে পারি। তার মধ্যে একটি হচ্ছে তাকদির বা ভাগ্য। আমাদের ভবিষ্যত নির্ধারিত হয় দুটি বিষয়ের বিষয়ের উপর এক আমাদের কর্ম দুই আমাদের ভাগ্য।

তাহলে দেখা যাচ্ছে আমাদের ভাগ্যের একটা অংশ আমাদের কর্ম দ্বারা নির্ধারিত হয়।  ভাগ্যের অপর অংশ সরাসরি আল্লাহর হাতে সেটা কর্মের সাথে সম্পর্কিত নয়। যেমনভাবে এক পায়ে হাটা যায়না ঠিক তেমনি একটা বিষয়কে মানলে অপর বিষয়কে না মানলে ভাগ্যের উপর ধারনা কখনো পরিষ্কার হবেনা। নিচের উদাহরন দুটো বিষয়টাকে আরো ক্লিয়ার করবে।

  1. ধরুন জামালের জন্ম হলো খুব গরিব পরিবারে। এর দরুন জামালের জীবনটা হলো অভাবগ্রস্থ।  অপরদিকে কামালের জন্ম হলো অনেক ধনী পরিবারে ফলে তার জীবন শুরু থেকেই আরাম আয়েশে কাটতে লাগলো। জামাল ও কামালের এই অবস্থাটা তার কর্মের সাথে সম্পর্কিত নয়।  এটা আল্লাহর হাতে। কোন মানুষের সাধ্য নেই এটা পরিবর্তন করে। এটাকে ইসলামিক পরিভাষায় বলে তাকদীরে মাবরুর।
  2. জামাল খুব পরিশ্রমী। সে কঠোর পরিশ্রম করে ধিরে ধিরে তার অভাব দুর করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনলো এবং বাকি জীবন সুখে শান্তিতে কাটাতে লাগলো। অপরদিকে কামাল অলস শুয়ে বসে খেয়ে এবং বিভিন্ন পাপের পথে পয়সা খরচ করে পৈতিক সুত্রে পাওয়া তার অঢেল সম্পত্তি শেষ করে ফেললো। বাকি জীবন সে নিদারুন কষ্টে পার করলো। তাদের এই অবস্থা তাদের কর্ম দ্বারা পরিচালিত। এটার দায়ভার সম্পূর্ন তাদের। এটাকে বলা হয় তাকদীরে মুয়াল্লাহ।
  3. ধরুন দুই বন্ধু রনি ও জনি। রনি পড়াশোনায় খুবই ফাকিবাজ। তাই সে এসএসসি পরিক্ষায় কোন রকম পাশ করে গেল। কিন্তু জনি খুবই মনোযোগী ও পরিশ্রমী। সবাই জানে সে গোল্ডেন জিপিএ পাবে। কিন্তু পরিক্ষার আগে তার ক্যান্সার ধরা পড়লো তাই সে আর পরিক্ষা দিতে পারলো না। তার চিকতসা করাতে গিয়ে তার পরিবার নি:শ্ব হয়ে গেল। অনেক মনোযোগী ও পরিশ্রমি হওয়ার পরেও জনি পিছিয়ে পরলো।  এটা জনির কর্মের কারনে নয়। এটা আল্লাহর হাতে এটা তাকদীরে মাবরুর।  তাই হঠাত কারো দুর্ভোগ দেখলেই বলা যাবেনা এটা তার কর্মফল।

আশা করি ভাগ্য এবং কর্ম বিষয়ে আপনাদের ধারনা পরিষ্কার হয়েছে। আপনার প্রশ্ন বা মতামত কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

লেখাটা ভাল লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পরতে সহযোগীতা করুন।

 

Yorumlar


Labu Rahman 5 yıllar önce

vaggo kormo 2 tai bissas korte hobe

 
  • Beğen
  • Aşk
  • HaHa
  • Vay
  • Üzgün
  • kızgın
 
Shohag Ali 6 yıllar önce

সবাই দেখুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আশা করি উপকারে আসবে।
https://www.youtube.com/watch?v=1TH9r4f_X-g&t=49s

 
  • Beğen
  • Aşk
  • HaHa
  • Vay
  • Üzgün
  • kızgın
 
Aminur Rahman 6 yıllar önce

First work then fate.

 
  • Beğen
  • Aşk
  • HaHa
  • Vay
  • Üzgün
  • kızgın
 
Saidul Islam 6 yıllar önce

Kormo

 
  • Beğen
  • Aşk
  • HaHa
  • Vay
  • Üzgün
  • kızgın
 
khobir Ahmed 6 yıllar önce

thanks

 
  • Beğen
  • Aşk
  • HaHa
  • Vay
  • Üzgün
  • kızgın