কথিত আছে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টুপি ও দাড়ি ওয়ালা লোক দেখা যায় উত্তরবঙ্গে, আবার থানা উপজেলা পর্যায়েও সবচেয়ে বড় বড় মসজিদ আমাদের উত্তরবঙ্গেই আছে। অথচ সেই উত্তরবঙ্গের এত বড় নেতা হওয়া সত্ত্বে, একজন মুসলিম হিসেবে, একজন জ্ঞানী লোক হিসেবে তার এসব কথা শোভা পায় না। মানলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইসলামের জন্য অনেক কিছু করেছেন অনেক অবদান রেখেছেন। তাই বলে তার নামের আগে ''হযরত'' উপাধি দেওয়া এবং খলিফা ওমর (রাঃ) ও উসমান (রাঃ) এর সাথে তুলনা করা এটা একেবারেই মেনে নেওয়ার বা তুচ্ছ বিষয় নয়। ইসলামের যে ১০ জন মানব দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হযরত ওমর (রাঃ) ও উসমান (রাঃ)। এমনও ঘটনা আছে আমিরুল মু'মিনীন হযরত ওমর রাঃ এতটাই ন্যায় পরায়ণ নেতা ছিলেন যে, তার সময় বাঘ বকরিও একই ঘাটে পানি পান করত। আর আইনের ব্যাপারেও তিনি এতটাই কঠোর ছিলেন যে, ইসলামে মদ হারামের পর সেটা খাওয়ার অপরাধে নিজ পুত্রকেও শাস্তি দিতে কমতি রাখেননি, জানা যায় যে মদ খাওয়ার অপরাধে নিজ পুত্রকে সকলের সামনে ৮০ টা বেত্রাঘাত করেছিলেন এবং এতে তাঁর পুত্র মৃত্যুবরণ করেন। হযরত ওমর রাঃ এর আমল আখলাক ন্যায় পরায়ণতা ও তাঁর ধর্মভীরুতা দেখে মহানবী (সঃ) পর্যন্ত বলেছিলেন, আমার পর যদি কেউ নবী হতেন তাহলে হতেন তিনি হযরত ওমর রাঃ। এমনকি হযরত ওমর রাঃ এর একটি উক্তিও আছে যে, যদি ইউফ্রেটিসের তীরে একটি কুকুর না খেয়ে মারা যায় তবে উমর সে জন্য দায়ী থাকবে। — (উমর) তাহলে কোথায় ছিল সেই সময়ের শাসন ব্যবস্থা আর কোথায় এখনকার শাসন ব্যবস্থা। কিভাবে তাঁর সাথে আমাদের সময়ের নেতা কর্মীর তুলনা হয়!!! আমি কেন যেকোনো মুসলিমই এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলবে। কয়েকটা ভাল কাজের জন্য জন্য যদি হযরত উপাধি দেওয়ার কথা বলা যায় তাহলে তো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে অনেক আগে হযরত উপাধি দেওয়া যেত আমার মতে। কারণ রোনালদো মুসলিমদের জন্য যতগুলো ভাল কাজ করেছে আমাদের মত মুসলিম দেশের নেতা কর্মীও আমার মতে এত ভাল কাজ আজ পর্যন্ত করেনি। ধর্ম নিয়ে কথা বলতে গেলে আগে ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান নিয়ে বুদ্ধি ও বিবেক দিয়ে কথা বলবেন, শুধু শুধু নেতাকে খুশি করার জন্য মনগড়া কথা বার্তা বলবেন না দয়া করে।।।
Procurar
popularne posty