অনেক সময় মনে হয় ইশ দিনটা ২৪ ঘণ্টা না হয়ে আরো কয়েক ঘণ্টা বেশি হলে ভালো হত। এই লেখাটা কর্মময় আপনার জন্য! এই কৌশলগুলো রপ্ত করে নিন, আর ব্যর্থ হবেননা কোনো বিষয়েই!
১। একটা রুটিন তৈরি করে নিন। আপনার ব্যস্ততা ও কাজের পরিধি ছোট হোক,বড় হোক অথবা কম হোক, বেশি হোক অবশ্যই রুটিন তৈরি করে নিন। রুটিনবাঁধা জীবনে অভ্যস্ত হোন। চেষ্টা করুন রুটিনের যেন ব্যত্যয় না হয়।
২। কালকের কিছু কাজ আজকেই গুছিয়ে রাখুন। আপনি যদি গৃহিণী হয়ে থাকেন তবে পরের দিনের জন্য সবজি কেটে রাখতে পারেন, সকালের নাস্তার কিছু প্রস্তুতি আগে করে নিতে পারেন। আপনি যদি কোনো অফিসে চাকরি করেন তবে আপনার অফিসের কিছু কাজ এভাবে অগ্রিম সেরে রাখতে পারেন। কোথাও বাইরে যাওয়ার আগের রাতেই কি পরবেন, কি খাবেন, সব ঠিক করে নিন। প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন কাপড়, জুতা, কেয়ার প্রোডাক্ট ( সান্সক্রিম, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, স্কিন প্রোডাক্ট, শুকনা খাবার, পানি ইত্যাদি) আগের রাতেই গুছিয়ে রাখতে হবে। আপনি যদি শিক্ষার্থী হন, তবে আপনার কালকের ক্লাস রুটিন অনুযায়ী বই,খাতা ও ব্যাগ এখনই গুছিয়ে ফেলুন। পরের সেমিস্টারের কিছু পড়া এখন থেকেই অল্প অল্প এগিয়ে রাখুন। এসব অভ্যাস আপনাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নেবে। আর আপনাকে সবার থেকে আলাদা চেনা যাবে।
৩। সব সময় নিজের কাজ, নিজের দায়িত্ব নিয়ে চিন্তা করুন। কাজ ভুলে গেলে নোট করে রাখার অভ্যাস করুন। চেকলিস্ট করতে পারেন নিজের প্রতিদিনের কাজের ওপর। দিনের শুরুতেই একটা ছোট নোট করে নিন যে আজ কোন এপয়েন্টমেন্ট আছে কিনা, কোঞ্জরুরি কাজ আছে কিনা কিছুক্ষন পর পর সেই লিস্ট চেক করুন কিছু বাদ পড়ল কিনা।
৪। মাল্টিটাস্কিং হওয়ার চেষ্টা করুন। একসাথে ২-৩ টা কাজ শুরু করুন। ধরুন চুলায় চা বসিয়েছেন। চা হতে হতে অন্যকাজগুলো ( কাপ রেডি করা, দুধ-চিনি মিক্স করা এগুলো আরকি) এগিয়ে রাখুন। একটা চুলা খালি? অন্য চুলায় কোন রান্না বা নাস্তা তৈরির কাজ করার থাকলে করা শুরু করুন। প্রথম প্রথম ভুল হবে, ধীরগতির হবে, অনুশীলন করুন। পরিবর্তনটা আপনিই বিচার করে নিবেন।
৫। অনেক সময় আমাদের সামনে একসাথে অনেকগুলো কাজ চলে আসে, তখন আমরা অনেকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাই। অনেকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা। এমন অবস্থায় আপনার কাজগুলোর প্রায়োরিটি বেসিস তৈরি করুন। মানে জরুরি ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজগুলোকে সাজান। যা আগে করা দরকার তা আগে লিখে রাখুন।
৬। এটা সবচেয়ে জরুরি আমার কাছে! এ অভ্যাসটা আপনাকে এতটাই আলাদা করে দিবে যে আপনি আমাকে ধন্যবাদ জানাবেন। সকালের ঘুম ত্যাগ করা। ত্যাগ করা মানে একদম বাদ দেয়া। আমার বাবা বলেন সকালের ঘুম তোমার যা কেড়ে নেবে তা আর ফিরে পাবেনা আর সকাল বেলা জেগে থাকলে যা পাবে তা আর কেউ দিতে পারবেনা। সুন্দরভাবে সকালটা শুরু করুন। ফ্রেশ হয়ে, এককাপ চা খেতে পারেন। সাথে আজকের দিনের পরিকল্পনা করে ফেলুন। আজকের সারা দিনের জন্য যা যা প্রয়োজনীয় তা গুছিয়ে রাখুন। নিজেকে কিছু কুয়ালিটি টাইম দিন।
আজ থেকেই শুরু করুন, দেরি করবেন না। কমেন্ট বক্সে আপনার অভিজ্ঞতা জানাবেন আশা করি।





