সোমবার যমুনা গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে হুরাইন এইচটিএফের ফেব্রিকস গ্যালারিতে ফিতা কেটে এই আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল মেলার উদ্বোধন করেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামীম ইসলাম, গ্রুপ পরিচালক শেখ মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ এবং গ্রুপ পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম।
উদ্বোধনের পর তারা মেলা ঘুরে দেখেন এবং হুরাইনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ফেব্রিকসের উৎপাদন, মান ও আন্তর্জাতিক বাজারে হুরাইনের পণ্যের চাহিদা নিয়ে আলাপ করেন। এ সময় চার দিনব্যাপী এই মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনার খোঁজখবর নেন যমুনা গ্রুপের কর্ণধার।
জানা গেছে, হুরাইনের এ মেলা ১ মার্চ শুরু হয়ে চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলা এ মেলায় প্রদর্শিত হবে হরেক রঙের বিভিন্ন মানের ফেব্রিকস। যেখানে দেশি-বিদেশি বায়ার, মার্চেন্ডাইজাররা এসে তাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্য বাছাই করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে যমুনা গ্রুপের পরিচালক (সেলস, মার্কেটিং অ্যান্ড অপারেশনস) ডক্টর মোহাম্মদ আলমগীর আলম ও হুরাইনের তিনজন সিএমও রাজিথা ইন্দোনীল উইরাথুঙ্গা, আব্দুল হাকিম ও সৈএদ মশকুর আলী মেলার বিষয়ে সবাইকে বিস্তারিত জানান।
মেলা প্রসঙ্গে যমুনা গ্রুপের পরিচালক (সেলস, মার্কেটিং অ্যান্ড অপারেশনস) ডক্টর মোহাম্মদ আলমগীর আলম বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া, ঋতু ও ফ্যাশন ট্রেন্ডের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আমরা অটাম উইন্টার ২০২১ ও স্প্রিং সামার ২০২২-এর উপযোগী শত শত ফেব্রিকস প্রদর্শন করছি।
যমুনা গ্রুপের রপ্তানিমুখী এই নতুন টেক্সটাইল ব্র্যান্ড ইতোমধ্যে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন ব্র্যান্ড জগতে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। মেলা শুরুর আগেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।
বাংলাদেশে অবস্থানরত সব আন্তর্জাতিক রিটেইল ফ্যাশন ব্র্যান্ডের প্রতিনিধি, এজেন্ট, বায়িং হাউজের প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের হাজার হাজার প্রতিনিধি এই মেলায় আসার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
মেলার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের বিষয়ে হুরাইনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) আবদুল হাকিম বলেন, মেলাটা অ্যাপারেল ফেব্রিকসকে কেন্দ্র করে হচ্ছে। এ মেলার মাধ্যমে প্রকাশ পাবে অ্যাপারেল সেক্টরে বিশ্বের উন্নত সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছে।
এখানে এসে হুরাইনের তৈরি ফেব্রিকস দেখে বায়াররা ধারণা নিতে পারবেন অ্যাপারেল সেক্টরে বাংলাদেশ কতটা সফল হয়েছে। তিনি আরও জানান, হুরাইনের সব ফেব্রিকস রপ্তানির জন্য।
কোভিড মহামারির কারণে বর্তমান সময়ে আমাদের তৈরি ফেব্রিকস আন্তর্জাতিক মহলে উপস্থাপন করা যাচ্ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে ২০২১-২০২২ সালের বসন্ত ও গ্রীষ্মকালীন ফেব্রিকস বায়িং শুরু হয়ে গেছে।
আমরা এই সিজনটা হারাতে চাই না। তাই বায়ার বা তাদের প্রতিনিধিদের কাছে পৌঁছতে এই মেলার আয়োজন করেছে হুরাইন। সেই লক্ষ্যে হুরাইনের মেলায় ৩ হাজার ৫০০ রকমের ফেব্রিকস প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে জানান আবদুল হাকিম।
সিএমও সৈএদ মশকুর আলী বলেন, হুরাইন এখন বৈশ্বিক ব্র্যান্ড। বিশ্বের অন্তত ১৫০টি বায়ারের সঙ্গে কাজ করছে হুরাইন ফেব্রিকস।





