ভিনেগার

Yorumlar · 419 Görüntüler

ভিনেগার অ্যাসিটিক এসিড (CH3COOH)  ও পানির মিশ্রণে তৈরি।

আমাদের রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় উপাদানের মধ্যে অন্যতম হলো ভিনেগার। রান্নাঘরে ব্যবহারের পাশাপাশি ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রেও এর প্রচুর ব্যবহার রয়েছে। মূলত বিভিন্ন ফলের রস ও অ্যালকোহল সহযোগে ভিনেগার তৈরি করা হয়। কখনো আবার নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে এটি তৈরি করা যায়। রান্নার পাশাপাশি ভিনেগার

গৃহস্থালির জিনিসপত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে এবং চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত হয়। আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগে মানুষ ভিনেগার ব্যবহার শুরু করেছে। প্রায় ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বে মিসরে ভিনেগার পাওয়া যায়। এটি বিভিন্ন ফলের সমন্বয়েও তৈরি করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে আপেল, খেজুর, টমেটো, নাশপাতি, নারকেল এসব ব্যবহার করা হয়। যে ফলের রস দিয়ে ভিনেগার তৈরি করা হয় সেই ফলের নাম অনুসারেই এর নাম দেওয়া হয়।

ভিনেগার ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, কোলেস্টেরল, হৃদরোগের সমস্যা, কিডনির সমস্যা, হাইপারটেনশনের মতো রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া শরীরের গন্ধ, পায়ের গন্ধ এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় যেমন—রোদে পোড়া দাগ, ফুসকুড়ি, ব্রণ, পিগমেন্টেশনের সমস্যা দূরীকরণে এবং চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিনেগার ব্যবহৃত হয়।

বারবার ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমাতে কাজে আসে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার (এসিভি)। গাঢ় মধুর মতো রং আর হালকা টক গন্ধের এসিভিতে আছে সেলুলোজ এবং অ্যাসিটিক এসিডের এমন একটি সমন্বয়, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ভিনেগার খেলে দেহে রক্ত চলাচল সতেজ থাকে, রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহও বাড়ে। পাশাপাশি এটি বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্লান্তি দূর করে শরীরকে চনমনে করে। যাঁরা অনিদ্রায় ভোগেন, তাঁদের জন্যও ভিনেগার বেশ উপকারী। ঘুমের আগে গরম পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে গোসল করলে স্নায়ুর উত্তেজনা কমে, গভীর ঘুম হয়।

তবে ভিনেগারের কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। এটি কখনো সরাসরি ত্বকে লাগানো যায় না। এতে ত্বকে জ্বালার সৃষ্টি করে।ডায়াবেটিস ও পেপটিক আলসারের সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, ভিনেগার সরাসরি খেলে তাঁদের গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা হয়।

 

 

Yorumlar

সহজ এফিলিয়েট

ঘরে বসে সহজ আয়

ফেসবুক চালাতে পারলেই আয় করতে পারবেন

এখনি শুরু করুন