নানা গুণে গুণী দারুচিনি

Comments · 578 Views

দারুচিনি বৃক্ষের ছাল বা চামড়াই মূলত মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

দারুচিনি সব থেকে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভেষজ বৃক্ষ। এর মিষ্টি স্বাদ এবং সুন্দর সুবাসের জন্য যুগ যুগ ধরে মানুষের মধ্যে এর চাহিদার কোন কমতি হয়নি। দারুচিনিতে রক্তের শর্করা রোধকসহ উন্নত অসাধারণ ঔষধি গুণাবলী রয়েছে। দারুচিনি একাধারে খাবারের মসলা হিসেবে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে।

চিরসবুজ বৃক্ষ এই দারুচিনির ছাল শত বছর ধরে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে শ্বাসতন্ত্র ও হজমের সমস্যা দূর করে থাকে। প্রাচীন মিসরীয়রা দারুচিনি থেকে সুগন্ধি তৈরি করতেন। একই সময়ে রোমানরা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে দারুচিনি ব্যবহার করতো। তবে আধুনিক যুগে এসে বিজ্ঞানীরা দারুচিনিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন।

দারুচিনির প্রধান দুটি প্রকার রয়েছে। যার মধ্যে মিষ্টি সুগন্ধযুক্ত সিলন ভার্সনের দারুচিনিই স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী। অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, দারুচিনি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের এলডিএল এর মাত্রা কমায়। ডায়াবেটিসের সমস্যাতেও দারুণ কার্যকরী দারুচিনি। ঈস্ট ছত্রাক ঘটিত ইফেকশন প্রতিরোধে দারুচিনির চমৎকার গুণাবলী রয়েছে। হৃদরোগীদের জন্যও দারুচিনি খুব উপকারী। এটি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। দারুচিনি মারণ ব্যাধি লিম্ফোসাইটিক লিউকোমিয়ার বিস্তার রোধে কাজ করে। রক্ত জমাট না বাঁধার অসুখ হিমোফিলিয়া প্রতিরোধ করতে দারুচিনি বিশেষ ভূমিকা রাখে।

Comments

সহজ এফিলিয়েট

ঘরে বসে সহজ আয়

ফেসবুক চালাতে পারলেই আয় করতে পারবেন

এখনি শুরু করুন