রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হল ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন লেবু ও কমলা থেকে পাওয়া যায় বলে করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে এসব ফলের দামও বেশি হয়ে গেছে।
তবে ভিটামিন সি পাওয়ার আরও উৎস রয়েছে।
পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কমলার চেয়েও বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায় যায় এমন কয়েকটি খাবারের নাম সম্পর্কে জানান হল।
ভিটামিন সি’য়ের কথা বললে প্রথমেই মাথায় আসে কমলার কথা। এর এটা ভিটামিন সি’য়ের ভালো উৎস। মাঝারি মাপের একটা কমলাতে ৬৯.৭ মি.গ্রা ভিটামিন সি থাকে । কমলা ছাড়াও ভিটামিন সি পাওয়া যায় এমন কয়েক টি খাবারের নাম সম্পর্কে জানানো হল।
পেঁপে: গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপে হজম শক্তি বাড়ায়, ত্বক উজ্জ্বল করে, সাইনাস পরিষ্কার করতে ও হাঁড় সুদৃঢ় করতে সহায়তা করে। এক কাপ পেঁপেতে ৮৮.৩ মি.গ্রা. ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
স্ট্রবেরি: এক কাপ স্ট্রবেরিতে ৮৭.৪ মি.গ্রা. ভিটামিন সি থাকে। এছাড়াও এতে আছে পর্যাপ্ত ফোলাট ও অন্যান্য যৌগ যা হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়ক। স্ট্রবেরি দাঁত সাদা করতেও সহায়তা করে।
ফুলকপি: আগুনে ঝলসে বা সিদ্ধ যে কোনো উপায়েই ফুলকপি খাওয়া উপকারী। ছোট আকারের ফুলকপিতে ১২৭.৭ মি.গ্রা. ভিটামিন সি, ৫ গ্রাম আঁশ ও ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
আনারস: আনারসে আছে ব্রমেলাইন নামক হজমের এঞ্জাইম যা, খাবার ভাঙতে ও ফোলাভাব কমাতে সহায়তা করে। ব্রমেলাইন প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে ও শরীরচর্চার পরে হওয়া ক্ষয় কমাতেও সাহায্য করে। এক বাটি আনারস থেকে সাধারণত ৭৮.৯ মি.গ্রা. ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
ব্রকলি: রয়েছে ক্যান্সার রোধী উপাদান। এক বাটি ব্রকলিতে ১৩২ মি.গ্রা. ভিটামন সি ও আঁশ থাকে।
আম: এই ফল ভিটামিন এ’র ভালো উৎস। মাঝারি মাপের আমে ১২২.৩ মি.গ্রা. ভিটামিন সি থাকে।
লাল ক্যাপ্সিকাম: নিম্ন ক্যালরি ও উচ্চ পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। এটা মন ভালো রাখে এবং এর সাহায্যে মজাদার খাবারও তৈরি হয়। ১০০ গ্রাম লাল ক্যাপ্সিকামে ১২৭.৭ মি.গ্রা. ভিটামিন সি থাকে।





