শীতের তিন অসুখ, সমাধান

Commenti · 1172 Visualizzazioni

ঋতু চক্রের পালাবদল চলছে। শীত আসছে। কিছু অসুখ-বিসুখের কথাই আলোচনা করা যাক।

ঋতু চক্রের পালাবদল চলছে। শীত আসছে।  জেঁকে বসবে আর কিছুদিন পরেই। শীত মানে টাটকা সবজি,  পিঠাপুলি,  খেজুর রস আর নবান্নের ঘ্রান। অন্যদিকে তেমনি শীতের সঙ্গে সঙ্গে এসে পড়ে কিছু অসুখ-বিসুখ। এ রকম কিছু অসুখ-বিসুখের কথাই আলোচনা করা যাক।

সাধারণ সর্দিজ্বর বা ফ্লু

ঠান্ডা লেগে সর্দিজ্বর এটা মূলত ভাইরাসজনিত অসুখ। প্রায় শ’খানেক ভাইরাস রয়েছে যারা শীতে সর্দি জ্বরের প্রকোপ বাড়ায়। ঋতু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যখন গরমের পর শীত আসে,  তখন আমাদের শরীর এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গিয়ে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তখন কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়। এই সুযোগটা কাজে লাগায় ভাইরাস। এতে দেখা দেয় সর্দিজ্বর, নাক বন্ধ,  গলা খুসখুস,  হাঁচি-কাশি,  গলা ব্যথা,  চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এই সময়ে খুব সচেতন থাকা দরকার। ঠাণ্ডা যাতে না লাগে খুব খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি সাবধান থাকতে হবে। সর্দি জ্বর হলে প্রচুর পানি পান করতে হবে। ফলের রস,  লেবুর রস খুব উপকারী এই ক্ষেত্রে। চিকেন স্যুপ ও ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার ভালো পথ্য হিসেবে কাজ করে।

অ্যাজমা

শীতের শুরুতেই অ্যাজমা বা হাঁপানির প্রকোপ বাড়ে। ঋতু পরিবর্তনের ধাক্কা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপ্ত করে। প্রতিক্রিয়া হিসেবে তখন দেখা দেয় অ্যাজমা। যারা অ্যাজমার রোগী, শীতের শুরুতেই তারা সাবধান হয়ে যাবেন। ধুলোবালি, ঠাণ্ডা পানি এড়িয়ে চলবেন। ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। প্রয়োজনে ওষুধপত্র বা ইনহেলার ব্যবহার করতে হতে পারে।

হৃদরোগ

শীতে শরীরে রক্ত চলাচল কমে যায়। ধমনির শিরাগুলো অপেক্ষাকৃত সরু হয়ে যায়। হৃদপিণ্ডের একই অবস্থা।  এতে হৃদপিণ্ডের ধমনিগুলোতে রক্ত চলাচল কমে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এ কারণেই দেখা যায় শীতে হার্ট অ্যাটাকের মাত্রা বেড়ে যায়। শীত এলে তাই হার্টের রোগীরা বাড়তি সচেতন থাকবেন। সকাল-বিকেল একটু দৌড়-ঝাঁপ করলে শরীর গরম থাকবে। গোসলের সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করবেন।

Commenti

সহজ এফিলিয়েট

ঘরে বসে সহজ আয়

ফেসবুক চালাতে পারলেই আয় করতে পারবেন

এখনি শুরু করুন