কমলায় প্রচুর ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফ্ল্যাভনয়েড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। একজন মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়, তার প্রায় পুরোটাই একটি কমলালেবুতে পাওয়া যায়। ওজন কমানো, ত্বকের পুষ্টি এমনকী হৃদযন্ত্র ভালো রেখে শরীরে রক্ত চলাচল নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে কমলা। জেনে নেয়া যাক কমলার আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
প্রচুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান থাকে কমলায়, যা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ছোটবড় নানা ব্যাধি ও সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে। ভিটামিন সি-এর অভাবে মুখে যে ঘাঁ হয় তার ঔষধ হিসেবে কমলা ভালো কাজ করে।
নিয়মিত কমলা খেলে দূরে থাকা সম্ভব মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে। কমলায় রয়েছে প্রচুর আলফা ও বেটা ক্যারোটিন ফ্ল্যাভনয়েড যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কমলায় লিমোনয়েড নামে এক পদার্থ থাকে যা মুখ, ত্বক, ফুসফুস, স্তন, পাকস্থলীতে ক্যান্সার প্রতিরোধে সরাসরি উপযোগী।
কমলা খেলে চোখ ভালো থাকবে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ঠিক রাখতে দরকার প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ। কমলায় প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়া মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য জরুরি ফলিক অ্যাসিড যথেষ্ট থাকে কমলায়। শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর জন্য, খাবার তালিকায় কমলা রাখা দরকার। কমলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ওজন কমায়। তা ছাড়াও কমলার রস করেও খাওয়া যায়।
ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কমলার জুড়ি নেই। কমলায় থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে বহু বছর। এটি ত্বকের ব্রণ সমস্যা দূর করে ও ত্বকের কালো দাগ সারায়।
কমলায় আছে পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। যা শরীরে সোডিয়ামের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। শরীরে কোলেস্টেরল লেভেল কমাতেও কমলার জুড়ি মেলা ভার। কমলার চর্বিহীণ আঁশ, সোডিয়াম মুক্ত এবং কোলেস্টেরল মুক্ত উপাদানগুলো হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে।
কমলার রয়েছে ভিটামিন সি যা যেকোনো ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে এবং ফ্লু ও ঠান্ডা প্রতিরোধে কাজ করে। এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম যা দাঁত ও হাঁড়ের গঠনে সাহায্য করে। কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক কমলালেবু। কমলা খেলে খাওয়ার রুচিও বাড়ে।