হুযুরের কাছে এক লোক এল অনেক 
সংকোচ-দ্বিধার পর সমস্যা খুলে বললো: 
-হুযুর! আমি বিয়ের আগে, প্রথমবার 
যখনআমার স্ত্রীকে দেখেছিলাম, 
মনে হয়েছিল, আল্লাহ তা‘আলা এই পৃথিবীতে তার মতো সুন্দরী মেয়ে আর 
সৃষ্টি করেন নি। 
যখন তাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে সব ঠিক ঠাক করা হলো, তখন রাস্তায় 
বের হলেই আরও অনেক মেয়েকেই তার 
মতো সুন্দরী মনে হতো। 
যখন বিয়ে হয়ে গেল, মনে হতে লাগল, 
জীবনে বিরাট ভুল করে ফেলেছি। দুনিয়ার সমস্ত মেয়েই আমার 
বউয়ের চেয়ে সুন্দর। আরও দেখে শুনে বিয়ে করা উচিত ছিল। আফসোসের সীমা রইল না। 
হুযুর বললেন: 
-তুমি যদি জগতের সমস্ত মেয়েকেও 
বিয়েকরে ফেলতে, তোমার কাছে বিয়েকরা স্ত্রীদের চেয়ে, রাস্তায় 
ঘুরে বেড়ানো বেওয়ারিশ কুকুর গুলোকেই সুন্দরী মনে হতো। 
-এটা কেমন কথা বললেন, হুযুর? 
-কারণ সমস্যা তোমার স্ত্রীর 
মধ্যে নয়, পৃথিবীতে কোনও মেয়েই অসুন্দর নয়। সমস্যা তোমার মধ্যে: 
তোমার মধ্যে একটা লোভী হৃদয় 
আছে, দুনিয়ার সমস্ত বাড়ি-গাড়ি-নারী পেলেও সেটা তৃপ্ত হবে না। 
তোমার মধ্যে একটা কুতকুতে চোখ 
আছে, কবরের মাটি ছাড়া আর কিছু 
সেটাকে ভর্তি করতে পারবেনা। 
তুমি কি তোমার স্ত্রীকে সেই আগের 
মতো সুন্দরী দেখতে চাও? 
-জ্বি হুযুর চাই। একশবার চাই। 
এজন্য যত টাকা লাগে খরচ করতে রাজি আছি। 
কোন বিউটি পার্লারে নিয়েযেতে হবে 
ঠিকানাটা বলুন, শুধু! 
-ওরে না না! এসবের কিছুই 
করতে হবে না। 
-তাহলে? 
-শুধু নিজের দৃষ্টিটা সংযত করলেই 
হবে। বেগানা নারীর দিকে না 
তাকালেই 
সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে 
আমাদের সমাজে  কুদৃষ্টির প্রভাবেই এই  সমস্ত অনৈতিক সম্পর্ক গুলির সুচনা হয়। 
কোরআনে, 
আল্লাহতায়ালা নারী,পুরুষ উভয়কে দৃষ্টি অবনত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।এমনকি হাদীসে রাসুল সঃ বলেছেন হঠাৎ  কোন নারীর দিকে পরা প্রথম দৃষ্টি জায়েজ।এর পর আর কোন মতেই ২য় দৃষ্টি দেওয়া জায়েজ নেই।সম্পর্ন নিষেধ। 
আসুন আমরা কোরআন+হাদীস মেনে চলে নিজের জীবনকে আল্লাহর রঙ্গে রঙ্গিন করি।তাহলে আমাদের এই সমাজ জান্নাতের বাগিচায় পরিনত হবে।