শিক্ষনীয় একটি পোস্ট
--------------------------------
পিতৃহারা ৭-৮ বছর বয়সী ছেলেটি স্কুল হতে বাড়ীতে এসে
মা কে বললোঃ
"মা,প্রিন্সিপাল, আমাকে আদর করে কিছু ক্যান্ডি দিয়েছে
আর তোমার জন্য এই চিঠিটা"
:
মা চিঠিখানা খুলে পড়ে কেঁদে ফেললেন।
:
মায়ের চোখের জল দেখে ছেলেটি বললোঃ মা,
কাঁদছো কেনো?
:
চোখ মুছতে মুছতে বললোঃ বাবা,
এটা একটা আনন্দের কান্না
:
বলেই ছেলেটিকে চুমু দিয়ে বললোঃ "আমার
জিনিয়াস বাবা,
তোকে চিঠিটা পড়ে শুনাই।"
:
মা আনন্দের সাথে জোরে জোরে পড়ল
"ম্যাম,
আপনার ছেলেটি সাংঘাতিক জিনিয়াস।
আমাদের ছোট্ট শহরে ওকে শিক্ষা দেওয়ার মত
শিক্ষক আমাদের নেই।
তাই যদি পারেন আপনার ছেলেকে বড় শহরে
কোন স্কুলে ভর্তি করে দিন।
এই ছেলেটি একদিন বিশ্বে প্রচুর সুনাম অর্জন করবে।"
:
পত্রখানা পড়েই মা, ছেলেটিকে চুমু দিয়ে বললোঃ
"এই জিনিয়াস ছেলেটিকে
আমিই নিজ হাতে পড়াবো।"
:
;
মা নিজেই শিক্ষা দিয়ে ছেলেটিকে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ
বৈজ্ঞানিক বানালেন।
"টমাস এডিসন"
বৈদ্যুতিক বাল্ব, শব্দ রেকর্ডিং, মুভি ক্যামেরা বা চলমান ছবি
ইত্যাদিসহ হাজারো আবিষ্কার।
:
:
মায়ের মৃত্যর পর টমাস এডিসন একদিন সেই ছোট্ট গ্রামে
মায়ের সেই ছোট্ট বাড়ীতে গিয়ে ঘর পরিষ্কারের সময়
স্কুলের প্রিন্সিপ্যালের চিঠিটা পেলো।
চিঠিখানা পড়ে টমাস কেঁদে দিলো।
তাতে লেখা ছিলোঃ
"ম্যাডাম,
আপনার ছেলে টমাস এডিসন একজন মেন্টাল রিটার্ডেড।
সে এতটাই নির্বোধ তাকে শিক্ষা দেওয়ার মত ক্ষমতা
আমাদের নেই।
কারও আছে বলে আমাদের জানা নেই।
আপনার ছেলের কারণে আমাদের স্কুলটির সুনাম ক্ষুন্ন হবে।
তাই কমিটির সিদ্ধান্তানুযায়ী আপনার ছেলেকে স্কুল হতে
স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হলো।"
:
:
:
শিক্ষনীয়ঃ সন্তানের সাথে সর্বদাই ইতিবাচক আচরন
করবেন।
বাসস্থান সর্বশ্রেঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মা
হলো সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক।
