: নামাজ পড়েছেন?
: আমরা তো চাষাভুষা মানুষ! দিন আনি দিন খাই। আমাগো কি নামাজ পড়লে চলবো? নামাজ পড়লে কাজকাম করুম কহন?
.
: আপনি পড়েছেন?
: আমরা তো চাকরিজীবী! পরের চাকরি করি। সময়ের আগেই ডিউটিতে যেতে হয়। নয়তো কপালে থাকে বসের চোখ রাঙানি! নামাজের সুযোগ কই?
.
: আপনি?
: ব্যবসা করি। মাত্রই দোকানটা খুলছি। নামাজে তো যাইতেই হবে। এইটা তো ভালো কাজ। কিন্তু, দোকান রাইখা নামাজে গেলে দোকান দেখবে কে বলেন?
.
: ছোট ভাই, কী করো তুমি?
: ছাত্র।
: নামাজটা...?
: কী যে বলেন! পড়াশোনার যে চা-প! নামাজ পড়ার সময় কই? তাছাড়া,...ইয়ে...মানে... কাপড়টাও পাক-পবিত্র নাই। ক্যামনে কী করি বলেন?
.
...এভাবেই কিছু মানুষ এড়িয়ে যায়। মহান রবের মস্তবড় হুকুম-মানা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়।
.
.
.
.
হঠাৎ একদিন। খবর পাওয়া যায়, চাষী করম আলী আর নেই! ইহধাম তাঁকে বিদায় জানিয়েছে।
.
...অফিসে যাচ্ছিলেন আনোয়ার সাহেব। চাকুরিজীবি ভাইটি। সময় মতোই পৌঁছতে চেয়েছিলেন। সময় তাঁকে সহায়তা করেনি। একটা এক্সিডেন্ট। পঙ্গু হসপিটালে বাড়ে এক নতুন পেশেন্ট। অথর্ব, অকাজের হয়ে কাটে-আনোয়ার সাহেবের বাকী জীবন।
.
...ব্যবসায়ী মহাজন সাহেব! দোকান-দোকান করেই কাটত তাঁর সারাবেলা। ব্যবসার হিসাব কিতাব মেলাতে গিয়েই হঠাৎ একদিন দুপুরে- ব্যথা ওঠে বুকে। নামাজ পড়ার সময় ছিল না যে লোকটির। আল্লাহকে দেওয়ার মতো সময় কখনো হয়নি যার। হ্যাঁ, তিনিই। হসপিটালে নেওয়ার আগেই চলে গেলেন ওপারে।
.
...আর, ওই যে যুবক ভাইটি! নামাজে যার ছিল চির গাফলতি! অল্প বয়সে সেও চলে গেল একদিন। বড় আশা ছিল তার। জীবনকে নিজের মতো করে সাজাবার। জীবনের রঙ, রস, গন্ধে মাতাল ছিল তার মন। আল্লাহকে চেনার তার সময় ছিল কখন?
.
এখন, আমরা কী ভাবছি?

Md. Sabbir Ahmed
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?
Mohammad Tanvir
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?