একটি শিক্ষনীয় গল্পঃ
এক গ্রামে এক বৃদ্ধ ইন্তেকাল (মৃত্যু) করলেন।
জানাযা-র নামাজ শুরু হওয়ার মূহুর্তে বৃদ্ধের এক বাল্যবন্ধু
এসে ইমাম সাহেব-কে বললেন-" দাঁড়ান, জানাযা পড়াবেন না।
উনি আমার কাছে ১০ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন, এখনো শোধ করেননি।
আমি আমার টাকা ফেরত পেলে - তবেই জানাজা পড়াতে দেবো।"
ইমাম সাহেব মৃত ব্যাক্তির পুত্রদের ডাকলেন, তিনজন পুত্রের কেউই
ঋনের দায়িত্ব নিতে চাইলো না। তারা সাফ জানিয়ে দিলো - এরকম
কোন ওসিয়ত তাদের পিতা করে যান নি,, অতএব তারা এই ঋণ
পরিশোধ দিতে বাধ্য নয়।
ইমাম সাহেব মৃত ব্যাক্তির ভাই ,আত্মীয়-স্বজন সকলকে ডাকলেন,
কিন্ত কেউ ঋণের দায়িত্ব নিলেন না। ইমাম সাহেব সাফ জানিয়ে দিলেন ,
ঋণগ্রস্ত ব্যাক্তির জানাযা তিনি পড়াবেন না।
হঠাৎ বোরখা পরিহিতা এক মহিলা উপস্থিত হলেন, হাতে একটা ব্যাগ নিয়ে।
মহিলা বললেন-" ইমাম সাহেব,আমি মৃত ব্যাক্তির কন্যা।
এই নিন ,এই ব্যাগে বেশকিছু গয়না ও টাকা রয়েছে, পাওনাদার কে বলুন,
গয়না বিক্রি করে ওনার টাকা নিয়ে নিতে। আর হ্যাঁ,
এর পরেও যদি ঋণ শোধ না হয়, তাহলে কথা দিলাম, বাকি ঋণের আমি জিম্মাদার। সময় মতো পরিষোধ করে দেবো।
জানাযা-য় উপস্থিত সকল মানুষ অবাক। এবার পাওনাদার বললেন-" ইমাম সাহেব, জানাযা শুরু করুন। আমি ওনার কাছে কোন টাকা পেতাম না।
বরং উনিই আমাকে ১০ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। উনি হঠাৎ করে মারা গেলেন, কিন্তূ , ওনার অবর্তমানে টাকাটা কাকে
ফেরত দেবো - এরকম কোনো ওসিয়ত করে যাননি।
এখন বুঝতে পেরেছি , ওনার কন্যাই হলেন ,ওনার আমানতের হকদার।
ইনশাআল্লাহ , সময় মতো ওনার কন্যাকে ওনার আমানত ফিরিয়ে
দেবো।
মেয়েরা বোঝা নয়,, বরং বহুক্ষেত্রে মেয়েরাই পিতামাতার কাজে লেগেছে।
ছেলে-মেয়ে-র ভেদাভেদ করবেন না।
MD Zahidul Islam
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?