বন্ধু কখনও আক্ষরিক অর্থে দুঃখের ভাগিদার হতে পারে না। হৃদয়ের রক্তক্ষরণ থামিয়ে দেবার ক্ষমতা ভালোবাসার মানুষটিরও নেই। নির্ঘুম রাতগুলো কেউ কারো হয়ে জেগে থাকে না।
~
নিজেকে নিজেরই দেখে রাখতে হয়। সামলে রাখতে হয়। জীবনের ঘটনাগুলো যতখানি গুরুত্ব পাবার দাবি রাখে, ততটাই দেওয়া চাই, না বেশি, না কম।
~
এটুকু জেনে রেখো, যদি তুমি ভেঙে পড়ো উঠে দাঁড়াতে হবে তোমাকেই--তোমাকে টেনে তোলার কেউ নেই। যদি তুমি হেরে যাও, তোমাকে জেতাতে পারে শুধুই তোমার জিদ। হোঁচট খেয়ে উঠে দাঁড়ানো, আবার চলতে শেখা--তোমারই কাজ। নিজের কদর লোকের চোখে খুঁজতে যেও না; তুমি নিজেই জানবে তোমার মর্যাদা আসলে কতখানি। তুমি ওপরে উঠবে তখনই, যখন তুমি বিবেকের সাথে সৎ হতে পারবে। আর নিজেকে যদি সত্যিই চিনে থাকো, তবে কে কী বলল তাতে কিছু যায়-আসে না।
~
জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তার বোঝা বয়ে বেড়িয়ো না, সে বোঝা আল্লাহই নিয়ে নিয়েছেন। আয়-রোজগার নিয়ে ভেবো না, সেটাও আল্লাহ আগে থেকেই লিখে রেখেছেন। ভবিষ্যতের জন্যেও উদ্বিগ্ন হোয়ো না, ওটাও আল্লাহ তা'আলা নির্ধারিত করে দিয়েছেন। তোমার চিন্তা-করা বা না-করাতে কিছুই বদলাবে না।
~
একটা চিন্তাই মাথায় গেঁথে নাও: কীভাবে আল্লাহকে খুশি করা যায়। যদি তুমি তাকে খুশি করতে পারো, তিনি তোমাকে খুশি রাখবেন, তোমার ইচ্ছাপূরণ করবেন, তোমাকে দেবেন প্রয়োজনের চাইতেও অধিক। যে জীবন তোমায় কাঁদিয়েছে, তার জন্য কেঁদো না, শুধু বলো, ''হে আমার রব, আমাকে এই জীবন ও আখিরাতের জীবনে উত্তম বিনিময় দান করো।"
~
বান্দা যখন রবের কাছে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে, সেই একটি সিজদাহ এক পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ বেদনাকে বিদায় জানায়। আনন্দ ফিরে আসে অন্তর-চিঁড়ে-বেরোনো একটি দু'আয়। আল্লাহ তোমার কাজের কথা ভোলেন না। তিনি সে অন্তরের কথা জানেন, যার ব্যথা তুমি দূর করেছো; সে চোখের কথাও জানেন, যে চোখ কাঁদতে গিয়ে তোমার কথায় হেসে উঠেছে।
~
জীবনে চলার পথে একটি কথাই মাথায় রেখো: ভালো কাজ করে যাও, কারও কাছে বিনিময়ের আশা রেখো না। কারণ তুমি কোনো মানুষের জন্য ভালো কাজ করছো না, তুমি ভালো কাজ করছো আল্লাহর জন্য। কেননা আল্লাহ ভালো কাজকারীদের ভালোবাসেন...
hajara mije
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?