তিনি ১৩ হাজার ডলারে একটি মৃত দ্বীপ কিনেছিলেন😱
সেখানে বিপন্ন প্রাণী, পাখি ও গাছপালা দিয়ে সাজালেন। তাঁকে ৫০ মিলিয়ন ডলার অফার করা হলে তিনি বিক্রি না করে দান করে দিলেন।
১৯৬২ সালে, সংবাদপত্র সম্পাদক ব্রেন্ডন গ্রিমশো সেশেলসের মোয়েন দ্বীপটি কিনেছিলেন, যেখানে ৫০ বছর ধরে কোনো মানুষের পা পড়েনি। মূল্য ছিল ১৩ হাজার ডলার।
তিনি স্থানীয় একজন সঙ্গীকে নিয়ে দ্বীপে রবিনসন ক্রুসোর মতো বসবাস শুরু করলেন। তাঁর সঙ্গীর নাম ছিল "রেনে লাফোর্টিন"।
ব্রেন্ডন ও রেনে মিলে দ্বীপটিকে সাজাতে শুরু করলেন।
৩৯ বছরে, তারা নিজের হাতে ১৬ হাজার গাছ লাগালেন এবং প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করলেন।১৯৯৬ সালে তিনি তাঁর ও দ্বীপের গল্প নিয়ে একটি বই লিখেন"Grain of Sand"।
২০০৯ সালে একই নামে একটি ডকুমেন্টারিও তৈরি হয়। ২০০৭ সালে রেনে লাফোর্টিন মারা যান, আর ব্রেন্ডন একা হয়ে যান। তখন তাঁর বয়স ছিল ৮১ বছর।
তাঁর জীবদ্দশায়, তিনি দ্বীপে ২০০০ নতুন পাখির প্রজাতি নিয়ে আসেন এবং শতাধিক দৈত্যাকার কচ্ছপকে বাঁচান, যেগুলো প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছিল, যার মধ্যে সেশেলসের কচ্ছপও ছিল।
ব্রেন্ডনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে একসময়ের পরিত্যক্ত দ্বীপ এখন সেশেলসের দুই-তৃতীয়াংশ বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। একটি বিরান ভূমি পরিণত হলো এক স্বর্গে।
কয়েক বছর আগে, সৌদি আরবের একজন রাজপুত্র ব্রেন্ডনকে ৫০ মিলিয়ন ডলার অফার করেন দ্বীপটি কিনতে। কিন্তু ব্রেন্ডন নম্রভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
আমি চাই না এই দ্বীপটি ধনীদের প্রিয় অবকাশযাপনের স্থান হয়ে উঠুক।
এটি একটি জাতীয় উদ্যান হোক, যেখানে সবাই ও প্রাণীরা স্বাধীনভাবে বাস ও আনন্দ করতে পারে।
অবশেষে, তাঁর ইচ্ছা পূরণ হয়।
২০০৮ সালে দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়।
গ্রিমশো ২০১২ সালের জুলাইয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দ্বীপের একমাত্র বাসিন্দা ছিলেন।
Shimul 71
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Shimul 71
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?