বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন


রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রাম। সেই গ্রামেরই এক শিশুর জন্ম হলো, ৯ই ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে নাম তার রোকেয়া।

.

রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রাম। সেই গ্রামেরই এক শিশুর জন্ম হলো, ৯ই ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে নাম তার রোকেয়া। ভাইবোনের কাছেই রোকেয়ার যত আবদার, রোকেয়ার পড়াশুনা করার অদম্য আগ্রহ। বড় বোনের কাছে তিনি বাংলা শিখেছেন, রাত গভীর হলে মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাই এর কাছে শুরু হতো তার পড়াশুনা। লুকিয়ে লুকিয়ে এভাবেই পড়া শিখেছেন রোকেয়া, তখন মেয়েদের স্বাধীনতা ছিলোনা। ছিল না লেখা পড়া করার সুযোগ। যা কিছু করার অধীকার সবই ছিল ছেলেদের, মেয়েরাও যে পড়াশুনা শিখে কিছু করতে পারে, সে কথা কেউ ভাবতে পারতো না, খুব অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হতো। রোকেয়ার বিয়ে হলো ১৬ বৎসর বয়সে, বিয়ের পর স্বামীর নাম অনুসারে তার নাম হলো রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, এরপর স্বামীর সাথে তিনি পারি জমালেন ভাগলপুরে, ১৬০৯ সালে রোকেয়ার স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন মারা যান, মারা যাওয়ার আগে স্বামী কিছু অর্থ রেখে যান, এবার রোকেয়ার  শুরু হলো আরেক জীবন, মুসলমান মেয়েরা তখন অনেক পিছিয়ে, সমাজ তাদের লেখাপড়া নিয়ে ভাবতেই পারেনি। তাদের লেখাপড়া করার কোনো স্কুল ও ছিল না, কিন্তু মেয়েদের যদি উন্নতি করতে হয়, লেখাপড়া শিখতেই হবে, নিজের জীবন দিয়ে তিনি সেটা বুঝেছিলেন। বুঝেছিলেন ছেলেদের যে অধিকার মেয়েদেরও তো সে অধিকার থাকার কথা, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পিছিয়ে থাকলে সেই সমাজের উন্নতি হতে পারে না, তিনিই প্রথম মেয়েদের অধিকার প্রতিষ্টার জন্য লড়াই করে ছিলেন। রোকেয়া মারা যান ১৯৩২ সালে। তিনি নারীজাগরণের অগ্রদূত হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।

Comments