অ্যামেজিং ব্যবসায়িক আইডিয়া


দ্রুত পরিবর্তিত আমাদের জীবনযাপনের সাথে সম্পৃক্ত অনলাইন বিজনেসের প্রতি যদি আপনারও আগ্রহ থেকে থাকে, তবে আসুন ক

.

দ্রুত পরিবর্তিত আমাদের জীবনযাপনের সাথে সম্পৃক্ত অনলাইন বিজনেসের প্রতি যদি আপনারও আগ্রহ থেকে থাকে, তবে আসুন কয়েকটি বিজনেস আইডিয়া জেনে নেই।

অনলাইন বিজনেসের ব্যাপারে আপনি যদি এই ছোট ভূমিকা পড়ে কিংবা আগে থেকে মনস্থির করে রাখেন কিন্তু কি ভাবে বা কোন ধরণের ব্যবসায় দিয়ে শুরু করবেন তা মনস্থির করতে না পারেন, তবে আপনার জন্য ১০টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আমি আজকে হাজির হলাম।

১. ই-কর্মাস

অনলাইন বিজনেস আইডিয়ার কথা বললে, প্রথমেই ই-কমার্সের কথা আসবে। অনলাইন বিজনেসের ক্ষেত্রে প্রথম কাতারে আছে এই ই-কমার্স। আপনি চাইলে ই-কমার্স দিয়ে আপনার অনলাইন বিজনেস শুরু করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে:

  • লাভজনক বাজার খুঁজে বিনিয়োগ করুন
  • প্রথম দিকে ব্যয়বহুল পণ্য নিয়ে শুরু করবেন না
  • পণ্যের বাজার চাহিদা যাচাই করুন
  • অনান্য ই-কমার্স সাইটগুলো থেকে আইডিয়া নিন

২. হস্তশিল্প

সেই প্রাচীনকাল থেকে আজকের এই আধুনিক সমাজে হস্তশিল্পের চাহিদা একটুও হ্রাস পায়নি। সৌখিনতা কিংবা নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক অভাব পূরণের ক্ষেত্রে মানুষ এখনও হস্তশিল্পের উপর নির্ভরশীল। আপনি চাইলে অনলাইনে এই বিজনেস শুরু করতে পারেন।

যারা হস্তশিল্পের কারিগর তাদের নিকট থেকে আপনি সরাসরি পণ্য ক্রয় করে বিক্রয় করতে পারলে লাভের পরিমাণ স্বভাবতই বেশী হবে।

৩. বই বিক্রিয়

যদিও বাজারে নতুন বই বিক্রয়ের অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে কিন্তু তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ সফল ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষের মতো চিন্তা করে, তবে একটু ভিন্নভাবে। আপনি চাইলে পুরাতন বই বিক্রয় করতে পারেন। পুরাতন বইয়ের চাহিদা কতটা বেশি, আপনি ঢাকার নীলক্ষেতে ঘুরে আসলেই বুঝতে পারবেন।

পুরাতন বই ক্রয় বিক্রয় করেও আপনার অনলাইন বিজনেস শুরু করতে পারেন। প্রথমদিকে আপনি ফেসবুকের পেইজ কিংবা গ্রুপ দিয়ে শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে, আপনি একটি ওয়েব সাইট খুলে আপনার ব্যবসাকে আরও সম্প্রসারণ করতে পারেন।

৪. মৌসুমি পণ্য বিক্রয়

আপনি অনলাইন বিজনেসকে লোকাল বিজনেস এর সাথে তুলনা করতে পারেন। বর্তমানের লোকাল বিজনেস থেকে অনলাইন বিজনেসে মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি চাইলে মৌসুমি পণ্য অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন।

বিষয়টা আরেকটু পরিষ্কার করলে বুঝতে পারবেন। যেমন ধরুন আপনি গ্রীষ্মকালে আমের ব্যবসা করতে পারেন। সরাসরি রাজশাহী থেকে ফরমালিন মুক্ত আম এনে আপনি তা অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন মৌসুমে যে-সব ফল কিংবা পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়, আপনি সে-সব পণ্য অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।

৫. পাইকারি পণ্য বিক্রয়

পাইকারি মূল্যে পণ্য বিক্রয় করতে পারলে অনলাইনে গ্রাহক চাহিদা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। যেমন ধরুন, আপনি গ্রাম থেকে চাল ক্রয় করে ঢাকায় অনলাইনে চাল বিক্রি করতে পারেন।

আর চাল সাধারণত মানুষ ১ কেজি বা ২ কেজি কিনে না বরং বস্তা বা মন অনুযায়ী কিনে। তাই এই ধরনের বিজনেস আপনার জন্য উপযোগী হতে পারে।

৬. ওষুধ বা চিকিৎসা সামগ্রী

অধিকাংশ সময় দেখা যায় মানুষ ফার্মেসীতে গিয়ে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ পায় না, সেক্ষেত্রে অনেক সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আবার অনেক আবাসিক এলাকায় ফার্মেসি থাকে না, জরুরী প্রয়োজনে তখন ওষুধ পাওয়া যায় না।

আর এসব ক্ষেত্রে অনলাইন সাইট, ফার্মেসির থেকে বেশী ভূমিকা রাখে। কারণ মানুষ জরুরী প্রয়োজনে অনলাইনে ওষুধের অর্ডার করে, ঘরে বসে ওষুধ পেতে পারে। আর তাই এখনই এই অনলাইন বিজনেস শুরু করে দিতে পারেন।

৭. পুরাতন জিনিস বেচা কেনা

পুরাতন জিনিসের চাহিদা সম্পর্কে ধারণা পেতে আপনি বিক্রয় ডট কমে ঘুরে আসতে পারেন। ওয়েবসাইট খুলে কিংবা প্রাথমিকভাবে আপনি ফেসবুকে পুরাতন জিনিস ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন।

৮. ঘরে বানানো খাবার

যান্ত্রিক জীবনে যন্ত্রের উপর মানুষ নির্ভরশীল হলেও মানুষের ভালোবাসা এখনো সে হাতে তৈরি খাবারের প্রতি রয়ে গেছে। আপনি ঘরে আচার, পিঠা কিংবা অন্যান্য সুস্বাদু খাবার তৈরি করে অনলাইনে, ফেসবুকে কিংবা ওয়েবসাইটে প্রচার-প্রচারণা করতে পারেন।

শহুরে জীবনের কর্মব্যস্ততায় হাতে তৈরি খাবারের চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি থাকবে। তাই এ ধরনের অনলাইন বিজনেস আপনার সাফল্যের পথের সিঁড়ি হতে পারে।

৯. লন্ড্রি

শহুরে জীবনে ব্যস্ততা ছাড়া অবসর সময় কল্পনা করা যায় না। আর কর্পোরেট লেবেলে তো ছুটি কালেভদ্রে পাওয়া যায়। মানুষ কাপড় ধোয়া কিংবা ইস্ত্রি করার সময়ও পায় না। আবার অনেক সময়, অলসতার কারণে দোকানেও দিয়ে আসে না।

তাই আপনি চাইলে এই সুবর্ণ সুযোগ ব্যবহার করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে মহল্লা বা এলাকা ভিত্তিক এই সার্ভিস চালু করতে পারেন এবং আপনি অনলাইনের অর্ডারগুলো মহল্লায় থাকা লন্ড্রি দোকানের সাথে চুক্তি করে কাজ করতে পারেন।

১০. অনলাইন ক্লাস

“অনলাইনে ক্লাস” কথাটা শুনে আপনার হাসি আসতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আপনি চাইলে, এটা আপনার অনলাইন বিজনেসের সবচাইতে বড় মাধ্যম হতে পারে।

অনলাইন ক্লাস শুরু করার আগে আপনাকে মানুষের কাছে পরিচিত করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি ইউটিউব কে প্রাধান্য দিতে পারেন। আপনি ইউটিউবে যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সে বিষয়ে ভিডিও দিতে পারেন। পরবর্তীতে যখন আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, তখন আপনি তাদের নিয়ে পেইড সিক্রেট ক্লাসের আয়োজন করতে পারেন। সেটা হতে পারে স্কাইপি অথবা অন্য কোন মাধ্যমে।

 

Comments