এক যুবক তার বেতন ছিলো মাত্র ৬,০০০ টাকা।
বিবাহিত হওয়ায় তার সাংসারিক খরচ বেতনের চেয়ে অনেক বেশি ছিলো। মাস শেষ হওয়ার আগেই তার বেতনের টাকা শেষ হয়ে যেত, তাই প্রয়োজনের তাগিদে তাকে ঋণ নিতে হতো।
একদিন সে তার ধার্মিক বন্ধুদের এক মজলিসে গেলো। কথায় কথায় যুবক তার সকল অবস্থা বন্ধুকে বললো। বিশেষত আর্থিক সমস্যাটা তার সামনে তুলে ধরল।
তার বন্ধু মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শুনল এবং বললো, তুমি তোমার বেতন থেকে কিছু টাকা সাদকার জন্য নির্ধারণ করো। যুবক আশ্চর্য হয়ে বললো, সাংসারিক প্রয়োজন পুরণেই ঋণ নিতে হয়, আর আপনি আমাকে সাদকার জন্য টাকা নির্ধারণ করতে বলছেন ?
যুবক বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি স্ত্রীকে জানালো। তার স্ত্রী বললো, পরীক্ষা করতে সমস্যা কী? হতে পারে আল্লাহ তা'আলা আমাদের জন্য রিযিকের দরজা খুলে দিবেন।
যুবক বেতনের ছয় হাজার টাকা থেকে ১৫০ টাকা সাদকার জন্য নির্ধারণের ইচ্ছা করলো। এবং মাস শেষে তা আদায় করতে শুরু করলো।
কিছুদিন পর আল্লাহ তা'আলা তার সামনে আরো একটি পথ খুলে দিলেন। সে তার এক বন্ধুর সাথে প্রপার্টি-ডিলিং এর কাজে অংশ নিতে শুরু করে। সে বন্ধুকে গ্রাহক-ক্রেতা এনে দিত, তাতে ন্যায্য লাভ পেতো।
আলহামদুলিল্লাহ! সে যখনই কোনো গ্রাহকের কাছে যেতো, গ্রাহক অবশ্যই তাকে অন্য গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছানোর রাস্তা দেখিয়ে দিতো। এখানেও সে ঐ আমলের পুনরাবৃত্তি করতো। অর্থাৎ, লাভের টাকা হাতে আসলে (আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) তা থেকে সাদকা করতো।
সুবহানাল্লাহ!! তার আর্থিক অবস্থা সম্পূর্ণ বদলে গেলো। এতো ঋণ থাকা সত্ত্বেও নিজেকে স্বাধীন মনে হতে লাগলো।
মনের মধ্যে এমন এক অনাবিল শান্তি হচ্ছিলো। কয়েক মাস পর থেকে সে নিজের জীবনকে সাজাতে শুরু করলো। নিজের আয়কৃত টাকা কয়েক ভাগে ভাগ করলো, আর তাতে এমন বরকত হলো, যা পূর্বে কখনও হয়নি। সে হিসাব করে একটা আন্দাজ করলো, কত দিনে ঋণের বোঝাটা মাথা থেকে নামাতে পারবে, ইন শা আল্লাহ!
"সাদকা কী" তা কেউ জানে না, ঐ ব্যক্তি ব্যতীত যে তা পরীক্ষা করেছে। সাদকা করেন এবং সবরের সাথে চলেন- আল্লাহর ফযলে খায়ের বরকত নাযিল হবে যা নিজ চোখে দেখতে পাবেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন:
مَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رَزْقُه فَلْيُنْفِقْ
" যার রিজিক সঙ্কীর্ণ হয়েছে, সে যেনো (দান-সাদকা বেশি) ব্যয় করে।"
___কপি
Rokhsana Khatun 2 years ago
Nice