রাজধানীর ৯ কেন্দ্রে চলছে করোনা টিকা কার্যক্রম


দেশে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ।

.

 ইতোমধ্যেই শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১। তাই দ্রুত টিকা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

 
 
 
 
 
 
 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় গত ২১ জানুয়ারি থেকে রাজধানী ঢাকার ৯টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে টিকা কার্যক্রম। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) টিকা দেওয়ার নির্দেশনা দেয় অধিদপ্তর।

 

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স বিভাগের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় টিকা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছি। টিকা কার্যক্রম চলছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব) জনগোষ্ঠী ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রাধান্য দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা শহরের ৯টি কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ অর্থাৎ ৩য় এবং চতুর্থ ডোজ ফাইজার ভিসিভি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

কেন্দ্রগুলো হলো: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতাল), শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়া সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার কিছু জায়গায় টিকা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ১ম, ২য় এবং বুস্টার ডোজ (৩য়, ৪র্থ ডোজ) বিতরণ এবং প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগির কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

পরে ধাপে ধাপে ঢাকার বিভিন্ন বিশেষায়িত ইন্সটিটিউট ও সরকারি হাসপাতাল, ঢাকার বাইরের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালসমূহে ভ্যাকসিন বিতরণের মাধ্যমে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

Comments