কিছু মুসলিম নাগরিক দেশের ভেতরে অন্য একটি সামাজিক ব্যবস্হা গড়তে চায়

commentaires · 592 Vues

ছবিঃ ইন্টারনেট

শ্রীলংকার শিক্ষার হার ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের থেকে বরাবরই বেশী ছিল; সিংহলীরা শতকরা হারে সবার চেয়ে বেশী শিক্ষিত; তামিলেরা পেছনে পড়ে গেছে অনেক কারণে; মুসলমানদের পড়ালেখা নিয়ে সমস্যা আছে, এদের অনেকেই মাদ্রাসা থেকে শিক্ষিত; শ্রীলংকার মুলমানদের মাঝে অনেক আরব আছে। আরব মুসলমানরা যেখানে যায়, তারা সেই দেশের আইন-কানুনের মাঝে নিজেদের নিয়ম-কানুন (শরীয়াহ আইন) চালু রাখতে চায়, দেশের মাঝে আরেক নতুন দেশ গড়ে তোলে; ফলে, তারা মুল প্রবাহের সাথে তাল মিলাতে পারে না তেমন।

বর্তমান বিশ্বে আইনের সংজ্ঞা বদলে গেছে: এখন আইন শুধুমাত্র দেশের পার্লামেন্টের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়; এখন সব দেশের সংবিধান আছে, সংবিধানের আলোকে পার্লামেন্ট আইন তৈরি করে; এখন কোথায়ও ধর্মীয়, গোত্রীয়, বা সামাজিক ট্রেডিশনের নিয়ম কানুনকে আইন হিসেবে প্রতিষ্টিত করার উপায় নেই। কিন্তু আরব মুসলমানেরা তাদের শরীয়া আইনকে প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা চালিয়ে যায়; তাদের যুক্তি, আল্লাহের আইনই সবচেয়ে শক্তিশালী আইন; তারা ভুলে যায় যে, রাষ্ট্র চালায় সরকার, আল্লাহ রাষ্ট্র চালান না।

প্রায় মুসলিম দেশ, ও যেখানে আরবেরা গেছে, সেসব দেশে একটা গ্রুপ সুযোগ পেলে শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে; কিন্তু বর্তমান বিশ্বের কোথায়ও শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা হওয়ার সম্ভাবনা নেই; এতে করে, শরীয়া আইনে আগ্রহীরা হতাশ হয়ে পড়ে ও দেশের আইন ব্যবস্হা বিপক্ষে কথা বলে; ফলে, তারা মুলধারা থেকে পেছনে পড়ে যায়, বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে দেশের আইনি ব্যবস্হার উপর। 

শ্রীলংকার গৃহযুদ্ধ দেশটিকে ৩ দশক ধরে পেছনে টেনেছে; শিক্ষিতের হার বেশী হওয়া শর্তেও গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটি এগুতে পারেনি; সম্প্রতি দেশটি ক্রমেই ভালোর দিকে যাচ্ছিল; এখন যেই ঘটনা ঘটেছে, এবার মুসলমানেরা বিপদে পড়বে; ৩ শত লোক মরলে ৩ শত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দেশের কোন আর্থিক ক্ষতি হয়নি; তবে, শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ এখন মুসলমানদের বিপক্ষে চলে যাবে। ফলে, মুসলমানেরা আর ভালো করতে পারবে না; অনেক মুসলমান ভয়েই দেশ ছেড়ে পালাবে।

commentaires

সহজ এফিলিয়েট

ঘরে বসে সহজ আয়

ফেসবুক চালাতে পারলেই আয় করতে পারবেন

এখনি শুরু করুন