ভূত/জ্বীন নিয়ে কিছু আলোচনা


ছোট কাল থেকেই আমি ভূত-প্রেত, রাক্ষস-খোক্ষসের গল্প পছন্দ করি।

.

এখনো মনে করতে পারি- 'হাউ, মাউ, খাউ, মানুষের গন্ধ পাউ' ধরণের ডায়লগগুলোকে। আমাদের বাংলার গ্রামে-গঞ্জে বুঝি ১২ রকমের ভূত দেখা যায়। তাদের মধ্যে আবার খারাপ ভালোও আছে। মামদো, শাঁকচুন্নি, পেঁচা-পেঁচি, নিশি, স্কন্ধকাটা, ব্রহ্মদৈত্য, পেত্নী, গেছো---- কত যে বাহারী নাম ভূতগুলোর। তবে, এই নামগুলো মানুষের দেওয়া নাকি ভূতরা নিজেরাই নিজেদের এমন নাম দিয়েছে সে নিয়ে একটু সন্দিহান আমি। 

সে যা-ই হোক, মনুষ্য সমাজে ভূতের অবদান মাঝে মাঝেই শোনা যায়। পাশ্চাত্য দেশে 'হন্টেড হাউস' খুঁজে বের করে টিভিতে সিরিয়াল পর্যন্ত হয়েছে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতও কম যায় না। ভূত নিয়ে টিভি সিরিয়াল তো অবশ্যই, এমনকি সিনেমাও বানানো হয়েছে। তা থেকে হয়েছে কোটি টাকা আয়!

আমাদের দেশেও 'আরব্য রজনী'-র সিরিয়ালে দৈত্যের আবির্ভাব ঘটেছে হর-হামেশাই। তবে, টিভিগুলো টক শো-তে অনেক কিছু নিয়ে আলোচ্চনা-সমালোচনা দেখেছি, কিন্তু, ভূত নিয়ে আলোচনা? ঠিক মনে করে উঠতে পারছি না! নাকি আমার স্মৃতি বিভ্রম ঘটেছে!

আমি যত দূর জানি, ইসলামের ৮টি বিশ্বাসের মাঝে ভূত/জীনের নাম নেই! তবে, ছোটকালে 'তিন গোয়েন্দা' সিরিজ থেকে শেখা 'ভূত থেকে ভূতে' পদ্ধতিটি বড় হয়েও ব্যবহার করেছি, এ কথা অস্বীকার করতে পারবো না। :)

467 Views

Comments