ইন্টারনের মাধ্যমে যে কোন ডিভাইস এর সাহায্য নিয়ে পন্য বা সেবা ক্রয় বিক্রয় বা বানিজ্যকে ইলেক্ট্রনিক বানিজ্য বা ই কমার্স বলে। ১৯৭০ এর দিকে ই কমার্স এর প্রাথমিক সূচনা হয়। ১৯৭১\৭২ সালে APPANET ব্যবহার করে প্রথম মারিজুয়ানা বিক্রি হয়। এর পর থেকে তিন দশকে ই কমার্স সারা পৃথিবী জুড়ে ব্যাপক ভাবে দখল করে নিয়েছে। ই কমার্স এর আবিষ্কারক হিসাবে বিবেচিত যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল অ্যালডরিচ। তিনি ১৯৭৯ সালে একটি লেনদেন প্রক্রিয়া করন কম্পিউটারকে একটি টেলিফোন সংযোগের মাধ্যমে একটি সংশোধিত টিভিতে যুক্ত করে সম্পন্ন করেন। ভাল মানের ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলোপমেন্ট কোম্পানী মাধ্যমে ই কমার্স সাইট তৈরি করলে ই কমার্স ব্যবসায় সহজে সাফল্য পাওয়া যাবে।
* ই কমার্স এর প্রকারভেদঃ
ই কমার্সচার প্রকার
- ব্যবসা থেকে ভোক্তা
- ব্যবসা থেকে ব্যবসা
- ভোক্তা থেকে ব্যবসা
- ভোক্তা থেকে ভোক্তা
* বৈশিষ্টঃ
১৷ সাধারনত ব্যবসা বানিজ্য করতে নির্দিষ্ট স্থানের প্রয়োজন কিন্তু ই কমার্সের মাধ্যমে সবজায়গায় সবসময় সহজলভ্য ভাবে সর্বব্যাপী বানিজ্য করা যায়।
২৷ পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেউ যেকোন সময় ইন্টারনেটের মাধ্যমে ই কমার্সে প্রবেশ করতে পারে।
৩৷ ই কমার্স আন্তর্জাতিক মানদন্ড মেনে চলে।
৪৷ ইন্টারনেটের সাহায্যে পন্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা বাড়ানোর একটা সহজ উপায়।
৫৷ ই কমার্স টেকনোলজি দ্বিমুখী যোগাযোগ রক্ষা করে।
৬৷ তথ্যের আধিক্য দেখা যায় ফলে এসব তথ্য হয় অধিক গ্রহনযোগ্য ও অধিক গুনগতমান সম্পন্ন।
৭৷ ই কমার্স টেকনোলজিতে বিক্রেতা তার ইচ্ছা মত দ্রব্য যে কারো জন্য উন্মুক্ত রাখতে পারে বা এড়াতে পারে।
ই কমার্স ব্যবসায় সফল হতে। আপনাকে যে বিষয় টি গুরুত্ব দিতে হবে আপনার ই কমার্স ব্যবসায় শুরু আগে সেরা মানের ই কমার্স ওয়েব ডিজাইনি এবং ই কমার্স ডেভেলেপমেন্ট কোম্পানীর সহযোগতীতা নিতে হবে।
* ই কমার্সের অসুবিধাঃ
- দক্ষ জনবলের অভাব।
- উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার ব্যয়বহুল।
- অতিরিক্ত অর্ডার হলে বা দূরবর্তী স্থানে অর্ডার হলে পন্য সরবারহের সমস্যা দেখা দেয়।
- ক্রেতা ও বিক্রেতা অধিকাংশ সময় ই কমার্সের কর্যক্রমের উপর বিশ্বাষ স্থাপন করতে পারে না।
- ই কমার্সের জন্য প্রাথমিক খরচ বেশি এবং অভিজ্ঞতার অভাবে পন্য সেবা পেতে দেরি হয়।
* বাংলাদেশে ই কমার্সের সম্ভাবনাঃ
গত এক দশক ধরে বিশ্বে ই কমার্সের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে জ্যামিতিক হারে। বিশেষ করে উন্নত রাষ্ট্রের লোকজন তাদের দৈনন্দিন জিবনের ব্যস্ততার কারনে ঠিকমত কেনা কাটা করার জন্য সময় বের করতে পারে না। তারা এখন তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ থেকে শুরু করে গাড়ী বাড়ী পর্যন্ত ই কমার্সের উপর নির্ভশীল হয়ে পড়েছে।উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি আমাদের বাংলাদেশেও গত পাঁচ বছরে ই কমার্সের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আমাদের দেশেও ই কমার্সের সম্ভাবনা বেড়ে চলেছে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এখন আমদের দেশও পিছিয়ে নাই। পরিশ্রম ও সময় বাঁচানোর ক্ষেত্রে ই কমার্সের সম্ভাবনা দিনকে দিন বেড়ে চলেছে এবং ভবিষ্যেৎ ই কমার্স বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তার করবে এটাই ধারনা করছেন উন্নত রাষ্ট্রের ব্যবসায়িক গবেষকরা। ই কমার্সের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেলে দেশের জিডিপি বেড়ে যাবে। ফরেন রেমিটেন্স বৃদ্ধি পাবে। দেশের লক্ষ কোটি বেকার যুবকের কর্মের অভাব দূর হবে। দেশ হয়ে উঠবে উন্নত রাষ্ট্র। দেশের মানুষের জিবন যাত্রার মান ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।