শীতকালে শাকসবজি রান্না ধনেপাতা ছাড়া যেন অপূর্ণ থেকে যায়। শুধু স্বাদ ও সুগন্ধি নয়, ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ভেষজগুণ। ধনে বীজ অর্থাৎ ধনে মসলায়ও রয়েছে প্রচুর ভেষজগুণ।
বিভিন্ন রোগ সারাতে এবং প্রতিরোধে ধনেপাতা অনেক ভূমিকা রাখে। পেট ফাঁপলে অর্থাৎ পেটে গ্যাস হলে ধনেপাতার রস বায়ুনাশক হিসেবে কাজ করে। প্রস্রাবের পরিমাণ কম হলে মূত্রবর্ধক হিসেবে ধনেপাতা কাজ করে থাকে। ঠান্ডা-সর্দিতে ধনেপাতার সঙ্গে কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, কালিজিরা এবং সরিষা বেটে ভর্তা করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
ধনেপাতা বলবর্ধক হিসেবে কাজ করে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। পেটের শূল বেদনা কমাতে অনেক সময় ধনেপাতা ও তার বীজ কাজ দিয়ে থাকে। ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। ধনের সবুজ পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'এ', যা অধিকাংশ শাকসবজির চেয়ে বেশি। আয়রনের পরিমাণ কচুশাক, লালশাক ও ডাঁটাশাক ছাড়া সব শাকসবজির চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে।
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ দৈনিক ১০০ গ্রাম ধনেপাতা খেলে তার দৈনিক আয়রনের চাহিদা পূরণ হয়। ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ডাঁটা, কচুশাক, লালশাক, শিম ছাড়া সব শাকসবজির চেয়ে অনেক বেশি। অন্যসব পুষ্টি উপাদান স্বাভাবিক রয়েছে।