ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডার ছয় বিশেষজ্ঞ হাতেকলমে এর প্রমাণ পেয়েছেন। কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট হোস লুইস জিমেনেজ জানালেন, বড় ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের নিদর্শন এখন নেই বললেই চলে। অর্থাৎ হাঁচি বা কাশি দিলে যে থুতু ছিটকে আসে, তা থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই কম। তার মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন এই গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়ে সেই মতো পদক্ষেপ করা উচিত।
নতুন এই তথ্য ঘোষণার পরেই বিশেষজ্ঞ দলটি আরো একটি বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, ঘন ঘন হাত ধুয়ে, মাস্ক পরে দুনিয়াকে আর কত দিন করোনা থেকে রক্ষা করা যাবে, তা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ডের গবেষক ত্রিশ গ্রীনহালের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের গবেষক দল ইতিমধ্যেই এয়ারবরন কোভিড ছড়ানোর বিষয়টি নজরে এনে ১০ পাতার রিসার্চ পেপার জমা দিয়েছেন।
আরো একটি বিষয়ে সতর্ক করেছেন গবেষকরা। তাদের মতে, বদ্ধ ঘরে করোনা সংক্রমণ অনেক বেশি হয়। খোলা জায়গায় সেই আশঙ্কা অনেক কম। অ্যাসিম্পটোমেটিক বা প্রিসিম্পটোমেটিক করোনা আক্রান্তদের হাঁচি কিংবা কাশি নেই। অথচ ৪০ শতাংশ ট্রান্সমিশন তাদের থেকেই হচ্ছে। এখন বিশ্বে বেশিরভাগ সংক্রমণ হচ্ছে এই সাইলেন্ট ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে।