দাঁতের ক্ষয়রোগ ও তার চিকিৎসা


দাঁত মানুষের এক মূল্যবান সম্পদ। দাঁত না থাকলে যেমন কোন কিছু খাওয়া সম্ভব হয় না। আবার দাঁতের কারণে শারীরিক সৌন্দর্যও বিনষ্ট হয়।

.

দাঁতের ক্ষয়রোগ ও তার চিকিৎসা সম্পর্কে এখানে বলা হয়েছে। কথায় বলে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম অনেকে বোঝে না। দন্ত ক্ষয় বা ডেন্টাল ক্যারিজ তারই পূর্ব লক্ষণ।

কোন কিছু খাওয়ার পর দাঁত সঠিকভাবে ব্রাশ না করলে দাঁতের ফাকে ফাকে খাদ্য কণা জমতে থাকে। মুখের ভিতরে ব্যাকটেরিয়া শর্করা জাতীয় খাদ্য ভেঙ্গে ফেলে এবং ল্যাকটিক এ্যাসিড তৈরি হয়। এই এ্যাসিড প্রথমে দাঁতের বাইরের স্তর এনামেলকে এবং পরে দাঁতের মধ্যস্থল ডেন্টিনকে ভেঙ্গে ফেলে। ফলে দাঁতে গর্ত সৃষ্টি হয়।

দাঁতে প্রথমে সাদা দাগ দেখা দেয়। এনামেলে ক্যারিজ হলে এবং ধীরে ধীরে এই দাগ বড় হতে থাকে। দাগ যখন ডেন্টিন পর্যন্ত পৌঁছে তখন দাঁতে কালো গর্ত দেখা দেয়। এই গর্ত পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে। তখন খাদ্য কণা ঢুকলে বা ঠাণ্ডা পানি লাগলে দাঁত শিরশির করে বা ব্যথা অনুভূত হয়।

দাঁতে গর্তের লক্ষণ দেখা দিলে ডেন্টিস্ট গর্তযুক্ত দাঁতে ক্যারিজ টুকু প্রথমে সরিয়ে ফেলবে। তারপর সুবিধা মতো সাইজের গর্ত তৈরি করে ফিলিং করবে। ফিলিং দুই ধরনের হয় যেমন- অস্থায়ী ফিলিং ও স্থায়ী ফিলিং।

অস্থায়ী ফিলিং হিসেবে আমাদের দেশে জিংক অক্সাইড উইজেনল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

স্থায়ী ফিলিং হিসেবে কপার এমালগাম, সিলভার এলামগাম, গ্লাস আয়োনোমার সিমেন্ট, লাইট কিউর ও অটো কিউর কম্পোজিট সিমেন্ট ইত্যাদি বেশি ব্যবহৃত হয়।

প্রতিদিন সকালে খাওয়ার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। দাঁতে গর্ত হলে কিংবা সাদা বা কালো দাগ স্পট দেখা দিলে দ্রুত ডেন্টিস্টের কাছে যেতে হবে।

Comments