আলুবোখারা


আলুবোখারা হাড় ক্ষয় রোধ করে হাড়কে মজবুত করে।

.

ডায়াবেটিস রোগের জন্য এই ফল বেশ উপকারী। এটি রক্তে গ্লুুকোজ কমায় এবং দেহে ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক রাখে। আলুবোখারা ক্যান্সার সেল ধ্বংস করে ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

সপ্তদশ শতাব্দীতে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে আলুবোখারার উন্নত জাতগুলো উদ্ভাবিত হয়। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় শীতপ্রধান ও অল্প উষ্ণ এলাকায় বিশেষ করে মধ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, চীন, ভারত, উত্তর আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় ব্যাপকভাবে আলুবোখারার আবাদ হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ও ভারতে একে আলুবোখারা নামে ডাকা হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে উদ্ভাবিত বারি আলুবোখারা-১ জাতটি ২০১৩-১৪ সালে অনুমোদন করা হয়। এর গাছ মাঝারি আকারের, পাঁচ-ছয় মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট হয়ে থাকে। ফেব্রুয়ারিতে এ জাতটিতে ফুল আসে আর জুন মাসে ফল পাকে। আলুবোখারা আকর্ষণীয় উজ্জ্বল লাল রঙের মাঝারি আকারের সুগন্ধিযুক্ত ফল। ফলের খাদ্যাংশ বেশি (৯৭%) এবং মাঝারি টক মিষ্টি স্বাদের হয়। গাছে প্রচুর ফল ধরে। এ জাতটিতে রোগবালাইয়ের আক্রমণ অনেক কম।

আশ্চর্য রকমের সুস্বাদু ও রসালো এই ফল কাঁচা বা চিনি, মরিচ ও সরিষার তেল সহযোগে চাটনির মতো করে অথবা বিভিন্ন উপাদান যোগ করে রান্না করে খাওয়া যায়। আলুবোখারা দিয়ে জ্যাম, জেলি, চাটনি, কেক, আচার প্রভৃতি তৈরি করা যায়। মধ্য ইংল্যান্ডে সিডার জাতীয় অ্যালকোহলিক বেভারেজ যা প্লাম জাবকাস নামে পরিচিত তা আলুবোখারা থেকেই প্রস্তুত করা হয়।

শুকনো আলুবোখারা মিষ্টি, রসালো ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এতে খাদ্যশক্তি কম (৪৬ কিলো ক্যালরি) থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপযোগী। এতে যথেষ্ট পরিমাণে পটাসিয়াম, ফ্লোরাইড ও লোহা রয়েছে, যা দেহকোষের সুরক্ষার জন্য উপযোগী। এর অন্য ভিটামিনগুলো শ্বেতসার মেটাবলিজমে এবং হাড়ের গঠনে ফসফরাস ও ভিটামিনকে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে ও বয়স্কদের আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধ করে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাড় ক্ষয় হতে থাকে, আলুবোখারা হাড় ক্ষয় রোধ করে হাড়কে মজবুত করে। ডায়াবেটিস রোগের জন্য এই ফল বেশ উপকারী। এটি রক্তে গ্লুুকোজ কমায় এবং দেহে ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক রাখে। আলুবোখারা ক্যান্সার সেল ধ্বংস করে ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

Comments