একসময় এ দেশ পাকিস্তানের একটি অংশ ছিল, তখন পাকিস্তানিরা আমাদের শাসন করেছে। তারা নানাভাবে এ দেশকে শোষণ ও করেছে। পাকিস্তানিদের শাসন ও শোষণ এর বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা হলো, শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ। দেশকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করার জন্য শুরু হয়েছিল এই যুদ্ধ। তাই একে বলে মুক্তি যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে যোগ দিলেন কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক, পুলিশ, সহস্র বাহিনীর সদস্য, জনতাসহ সর্বস্তরের অগণিত মানুষ, জীবন বাজি রেখে তারা ঝাপিয়ে পড়েন স্বাধীনতার সংগ্রামে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে যেভাবেই হোক পরাজিত করতে হবে, শত্রূমুক্ত করতে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ অর্জন করবে স্বাধীনতা। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্বের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শত্রূমুক্ত হলো, এল আমাদের চূড়ান্ত বিজয়। দেশকে শত্রুর কবল থেকে মুক্ত করার জন্য মুক্তিযদ্ধারা যে সাহস ও বীরত্ব দেখিয়েছেন, তার তুলনা নেই. যুদ্ধ শেষে সেরা মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। বীরশ্রেষ্ট হলো মুক্তিযুদ্বে বীরত্বের সবচেয়ে বড় উপাধী। মাত্র সাতজন বীর এই সম্মান লাভ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। তাদের আমরা ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি।
Tarikul islam Ridoy 4 jaren geleden
Sondor