এমনও দিন গেছে, রাশেদের আব্বা হয়তো বাজার থেকে পাঁচ কেজি চাল কিনে এনেছে। পরে ছেলে ফোন করে বইখাতা কিনতে টাকা চেয়েছে। চাল ফিরিয়ে দিয়ে তিনি ছেলেকে টাকা পাঠিয়েছেন। শুধু পানি খেয়ে আমরা রাত পার করেছি।
অন্যের বাড়িতে কাজ করে ছেলেকে খাওয়াইছি, পড়াইছি। ভেবেছিলাম, পড়াশোনা শেষ। কষ্টের দিনও শেষ। হলো না।
ছেলের মুক্তির জন্য ঢাকায় এসে দ্বারে দ্বারে ঘুরে ১০ দিনের পুলিশি রিমান্ডে নেওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানের মায়ের আহাজারি!
'আমার মণিকে তোমরা মাফ করে দাও। ভিক্ষা দাও। আমার মণিকে আমি ঢাকায় আর রাখব না গো। গ্রামে নিয়ে চলে যাব। শুধু মুক্তি দাও। সেও বাঁচুক। আমিও বাঁচি।’
আহারে! আহারে!
রাশেদের মায়ের আঁকুতি যেন সারা বাংলাদেশেরই আঁকুতি।
সবার সর্বোচ্চ #শেয়ার চাই

