শিং মাছের গলায় তাবিজ !!!
কুফুরি কালাম এর তাবিজ শিং মাছের গলায় বেঁধে দিয়ে তিস্তা নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।সেই মাছ ধরা পড়েছে কাকিনা মহিপুর ঘাটে। তিস্তা নদীতে জেলেরা মাছ ধরার সময় এই মাছ দুইটি জালে উঠে এসেছে।। মাছের কাটা দুইটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল শক্তিহীন করার জন্য। মাছ বড় হয় আর তার গলায় তাবিজ বাঁধা লাইলনের সুতা টাইট হয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে চলে যায়। এই মাছের সব কষ্টের প্রভাব পড়ে সেই ব্যক্তির উপর যার নামে এই কুফুরি যুক্ত তাবিজ করা হয়। শেষ পরিনতি ভয়ানক ভাবে মৃত্যুবরন।
এইটাকে মেয়াদি বান বলা হয় ।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি বা পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার জন্য এই ধরনের তাবিজ ব্যবহার করা হয় । এ জাতীয় তাবিজ (কুফুরি মিশ্রিত ) যারা বানায় তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামী কাফির। আল্লাহ্ পাক এই সমস্ত কাফিরদের কুনজর থেকে হেফাজত করুণ।
সবাই সাবধানে থাকবেন শত্রুরা কখন কি করে বলা যায় না ।
আমাদের দেশে অনেক মানুষ এ জাতীয় মুশরিকদের কাছে যায়।,
এসব হল কালা যাদু যা অত্যন্ত ভয়ানক ক্ষতিকর। এ জাতীয় (কুফর-মুশরিক) তাবিজ ওয়ালাদের কাছে গেলে আল্লাহর সাথে শিরীক করা হবে,
রাসূল সাঃ ও কুফরি যাদুর শিকার হয়েছিলেন,
এই বিষয়ে যে দোয়া দুটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে তা হল ঃ
“আল্লাহুম্মা, রাব্বান নাস! আযহিবিল বা’স। ওয়াশফি, আনতাশ শাফি। লা শিফাআ ইল্লা শিফাউক। শিফাআন লা য়ুগাদিরু সাকামা।”
(অর্থ- হে আল্লাহ! হে মানুষের প্রতিপালক! আপনি কষ্ট দূর করে দিন ও আরোগ্য দান করুন। (যেহেতু) আপনিই রোগ আরোগ্যকারী। আপনার আরোগ্য দান হচ্ছে প্রকৃত আরোগ্য দান। আপনি এমনভাবে রোগ নিরাময় করে দিন যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।)
জিব্রাইল (আঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করেছিলেন সেটাও পড়া যেতে পারে। সে দুআটি হচ্ছে-
“বিসমিল্লাহি আরক্বিক মিন কুল্লি শাইয়িন য়ুযিক। ওয়া মিন শাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসিদিন; আল্লাহু ইয়াশফিক। বিসমিল্লাহি আরক্বিক।”
(অর্থ- আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। সকল কষ্টদায়ক বিষয় থেকে। প্রত্যেক আত্মা ও ঈর্ষাপরায়ণ চক্ষুর অনিষ্ট থেকে। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য করুন। আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি।)
এই দোয়াটি তিনবার পড়ে ফুঁ দিবেন। সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস তিনবার পড়ে ফুঁ দিবেন।
আমরা যে দোয়াগুলো উল্লেখ করলাম এ দোয়াগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে হবে। এরপর যাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তি সে পানি পান করবে। আর অবশিষ্ট পানি দিয়ে প্রয়োজনমত একবার বা একাধিক বার গোসল করবে। তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী আরোগ্য লাভ করবে।
collected
Md. Sabbir Ahmed
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Mohammad Tanvir
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?