গল্প--বউ যখন কাজের মেয়ে।
পর্ব--১
লেখক--অচেনা পথের পথিক
।
।
।
।
--ভাইয়া এই ভাইয়া ওঠো। (শারমিন)
--কে? কে?(আমি)
--ভাইয়া আমি তোমার বোন। (শারমিন)
--তো আমি কি করবো। যা এখান থেকে।(আমি)
--তা যাবো। কিন্তু আজ নানুর বাড়ি যাওয়ার কথা। চলো আসো নিচে গেলাম আমি। (শারমিন)
--আচ্ছা যা।(আমি)
।
এখন ফ্রেশ হতে হবে৷ তার কারন নানুর বাড়ি যেতে হবে। নানু নাকি অনেক অসুস্থ। ওহ আপনােরতো আমার পরিচয় দেওয়া হয়নি। অবশ্য পরিচয় দওয়ার দরকারও নাই। তার কারন আপনারাতো সবাই আমাকে চেনেনই। তাও দেই। আমি আব্দুল্লাহ আল ফয়সল৷ সবাই আমাকে ওহী বলে ডাকে আমি আমার আব্বুর কোম্পানি দেখাশনা করি। আব্বুও যায় কিন্তু আমারও যেতে হয়। বিয়ে করিনি এখনো না কোনোদিন প্রেম করেছি। আজকালকার মেয়ে টাকা আর রূপ ছাড়া কারো সাথে প্রেম করতে চায়না। যাই হোক বাদ দেই। ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলাম। তারপর ব্যগ গুছিয়ে নিচে এসে দেখি সবাই রেডি হয়ে আছে৷ আমার জন্য অপেক্ষা করছে৷ সবাই বলতে আমার পরিবারে আমি দিয়ে চারজন সদস্য। আমি,আমার ছোট বোন শারমিন, আর আমার আব্বু-আম্মু। তো সবাই নানু বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। পৌছাতে পৌছাতে বিকেল হয়ে গেল। অনেকদিন আশা হয়না। আব্বু-আম্মু বোনকে নানু বাড়িতে যেতে বলে আমি গ্রামটা ঘুরতে গেছি। কিন্তু অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে গ্রামে। রাস্তা দিয়ে হাঠছি। তখনই দেখি একটা বাড়ি থেকে কোনো মেয়ের কান্নার আওয়াজ। দেখতে গিয়ে দেখি একজন মহিলা আমার বোনের বয়সের একটা মেয়েকে গরম খুনতি দিয়ে ছেক দেওয়ার চেষ্টা করছে৷ আমি কোনো কিছু না ভেবে চলে গেলাম বাড়ির ভিতরে মহিলার কাছ থেকে খুনতিটা নিয়ে ফেলে দিয়ে বললাম।
--আপনি মারছেন কেন ওনাকে?(আমি)
--তাতে তোর কি? আর তুই বা কে? এটা আমাদের পরিবারের ব্যপার আমি বুঝবো।(মহিলা)
--আমাকে চেনা লাগবেনা আপনার। শুধু এটুকু জেনে রাখুন আমি আবার আসব তখন যদি এসে দেখি ওর চোখে পানি তাহলে আপনার অবস্থা খারাপ করে দেবো আমি। (আমি)
--দয়া করে আমাকে বাচান। না হলে মামি আমাকে মেরে ফেলবে।(মেয়েটি)
--মামি। উনি তোমার মামি।(আমি)
--হুম। প্লিজ বাচান আমাকে।(মেয়েটি)
--ওই তোর এতো বড় সাহস। আমারই খাস আবার আমাকেই দোষ দিস।আজকেতো তোকে আমি....এই বলে সে দা দিয়ে মেয়ে টিকে মারার চেষ্টা করলে আমি হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলাম। কিন্তু দূর্ভাগ্য বশত আমার হাত দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে প্রচুর কিন্তু রাগের মাথায় কিছুই করতে পারছিনা। আমি ওই মেয়েটাকে নিয়ে চলে আসলাম। হাটছি তখনই.....
--দাড়ান আপনার হাত থেকে রক্ত বের হচ্ছেতো। (মেয়েটি)
--কি?(আমি)
--এই দেখেন। এই বলে মেয়েটি আমার হাত উচা করল।(মেয়েটি)
--আ......আ.....আমার হাত দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে আমাকে কেও বাচাও আমি মরে যাবো। এই বলে চিল্লাতে লাগলাম। আমার চিল্লানি শুনে মেয়েটি তার ওরনার কিছুখানি ছিরে আমার হাতে লাগায় দিয়ে ডাক্তার খানায় নিয়ে গেল। সেখানে হাতে একটা পট্টি লাগায় দিয়ে বলল যে এই মলমটা গোসলের পর হাতে লাগাতে। আমি ওই মেয়েটাকে নিয়ে হাটছি। তখন...
--আচ্ছা আমি কোথায় যাবো। আমারতো আর যাওয়ার জায়গা নাই। (মেয়েটি)
--কেন আমার সাথে যাবেন। আমার নানুর বাড়ি। টহে আমার নানুর বাড়ি কোথায় সোটাতো জানিনা। (আমি)
--কি আপনি জানেননা তাহলে আমাকে কেন নিয়ে আসলেন। এই বলে কান্না শুরু করে দিলো।
--আচ্ছা আপনি কি...... কে চেনেন। (আমি)
--হুম কেন চিনবোনা। ওনি কে হন আপনার।(মেয়েটি)
--আমার আম্মু। (আমি)
--কিহ। আপনি আন্টির ছেলে। আমিতো শুনছিলাম আন্টির মেয়ে আছে৷ ছেলে আছে এটাতো জানতাম না।(মেয়েটি)
--জানা লাগবে না। আমাকে নিয়ে চলুন। (আমি)
--আচ্ছা আমার হাত ধরেন।(মেয়েটি)
--কেন? আমি কেন আপনার হাত ধরতে যাবো। (আমি)
--বা..রে। আপনাকে নিয়ে যেতে হবেনা। চলুনতো এই বলে আমার হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগল। আমিও যাচ্ছি। পৌছে গেলাম। সবাই আমাকে দেখে খুব খুশি হলো। কিন্তু আমাকে দেখে ততটা খুশি হলো না যতটা ওই মেয়েটাকে দেখে খুশি হয়েছে। তার কারন আমিও জানিনা। হঠাৎ আমার আম্মু বলতে লাগল...
--নিলা মা কেমন আছিস। (আম্মু)
--এইতো আন্টি ভালো আছি। তুমি কেমন আছো।(নিলা)
--আমিও ভালোই আছি৷ তা তোর মামিতো তোকে আসতে দিতে চায়না। তা হঠাৎ কোথা থেকে আসলি। (আম্মু)
যখনই ও বলতে যাচ্ছিলো আমি ওর হাতে একটা চিমটি কাটলাম। আর ইশারায় বললাম যে ওই ঘটনা যাতে না বলে।
--আরে তোর হাতে আবার কি হলো। হাতে ব্যন্ডেজ কেন।(আম্মু)
--মুরগি ধরতে গেছিলাম। তাই হাত কেটে গেছে। বাদ দেওতো আমি ফ্রেশ হতে যাবো। (আমি)
--বলনা ভাই। কি হইছে তোর প্যন্টেও রক্ত। (শারমিন)
--বললামতো। আর কতবার বলতে হবে এর পরেও যদি বেশি প্যচাল পারতে হয় তাহলে কিন্তু....কথা গুলো চিতকার করে বললাম। আসলে রাগ ধরলে আমি এরকম করেই বলি। এই বলে আমি চলে যেতে লাগলাম। তখন আম্মু আবার নিলার কাছ থেকে শুনার চেষ্টা করতে যাবে তখনই। আমি হাজির আর বললাম সবাইকে সবটা খুলে। এখন খুশি। শুনে আমার বড় মামা প্রচুর রেগে গেল। আসলে আমার বড় মামা আরমিতে থাকে কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে আসছে৷
--তুই আমাকে আগে বলিসনি কেন। চলতো দেখে আসি ওই মহিলার কতো বাড় বেরেছে।(বড় মামা)
--নিলা ও যা বলছে তা কি সত্যি। (আম্মু)
--হুম।(এই বলে আম্মুকে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগল)
--আম্মু সব সত্যি। তুমি ওর ফিঠটা দেখো ওই মহিলা গরম খুনতি দিয়ে কতোবারযে ছেক দিছে তা আল্লাহই জানে। (আমি)
।
আম্মুকে ওকে ঘরে নিয়ে যখনই নিলা কাপড় খুলল তখনই......
।
।
চলবে.......
Hisbul Hasan AzaZ
supprimer les commentaires
Etes-vous sûr que vous voulez supprimer ce commentaire ?