এক.
বিয়ে করবো। মেয়ে দেখতে গেলাম। দেখা শেষ। ছোট বোন বললো, ভাইয়া এক হাজার টাকা দেন। আমার প্রশ্ন, কেনো? সে বলে এটা নিয়ম, মেয়ে দেখে টাকা দিতে হয়। আমি অবাক! কেনো? সে ও তো আমাকে দেখলো। তাহলে জরিমানাটা আমার হবে কেনো? তার ও তো উচিৎ আমাকে কিছু দেয়া। কিন্তু তা কখনো হয়না।

দুই.
মেয়ে পছন্দ হলো। কথা বার্তা ফাইনাল। আমাকে পাঁচ ভরী স্বর্ণ, পাঁচ লাখ টাকা মহর, আরো পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রসাধনী বাবৎ দিতে হবে। কিন্তু কেনো? বিয়ে তো আমি একা করছি না, সে ও তো আমাকে বিয়ে করছে। তাহলে সব আমি বহন করবো কেনো?
তিন.
সব দিয়ে এবার কাবিন নামায় স্বাক্ষর করতে গিয়ে ও থমকে গেলাম! কাজ্বী মহোদয় শর্ত শুনিয়ে দিলেন, আজ থেকে কনের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের সম্পুর্ণ দায়িত্ব তোমার এবং তা যুগোপযোগী। এখানে ও আমি পুরুষ পরাজিত।

চার.
বিয়ের পর গেলাম হানিমুনে। চার দিন পাঁচ তারকা হোটেলে কাটিয়ে বিশ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করতে গিয়ে সে পাশে সরে দাড়ালো। ওপেন হলো আমারই ব্যাংক কার্ডের পাসওয়ার্ড। তাহলে আমি কী একাই বিনোদিত হয়েছি? সে উপভোগ করেনি?বিলটা কিন্তু আমি একাই দিলাম।

পাঁচ.
হোটেল থেকে বের হলাম। বড়োসড়ো ব্যাগটা বহন করে গাড়িতে নিতে হবে। তাকে বললাম, নাও। মুসকি হেঁসে পেছনে সরে গেলো। এমন ভাব, যেনো এটা তার কাজ নয়! ব্যাগে কি শুধু আমার কাপড় চোপড় ছিলো?তার ছিলোনা? শেষে আমিই ব্যাগটা বহন করে গাড়িতে তুলি। কারন আমি পুরুষ, আমি যে আজীবন বউয়ের কুলি!!

ছয়.
বছর ঘুরতেই সন্তানের আগমনী বার্তা। হাসপাতালে সিজার। সব মিলে লাখ টাকা খরচ। সন্তান দুজনের হলেও বিল পরিশোধ করতে হলো আমাকেই। আবার এই সন্তানের জান্নাত এই পায়েরই পায়ের নিচে। আমার হক ১ বার আর মায়ের ৩ বার। এটাই তার প্রতি আদেশ মহান আল্লাহ্‌র।

উপসংহার.
এসব অধিকার ইসলাম নারীকে দিয়েছে। আর তোমার যদি ইসলামের দেয়া অধিকার কম মনে হয়, তাহলে তুমি নারী ভোগের মাল হিসেবেই ঠিক আছো, এত সন্মানের যোগ্য তুমি না।

এরপর ভেবে দেখা হবে তোমাদের সমাধিকারের কতোটা পুরন করা যায়। ইসলাম নারীকে অধিকার দিয়েছে উঁচু সম্মানী করে। আর তোমরা নারীবাদীরা নারীর সম্মান নয়, শুধু তাদের দেহ খোলার অধিকার আদায়ে ব্যস্ত। তাই তোমরা নারীর ইট সিমেন্টের কাজকে অমানবিক বললেও ফুটবল কে তার অধিকার বলে চালিয়ে দাও। দারুন ধাপ্পাবাজ তোমরা ওহে নারীবাদীরা, ইসলামবিরোধীরা।।।

সহজ এফিলিয়েট

ঘরে বসে সহজ আয়

ফেসবুক চালাতে পারলেই আয় করতে পারবেন

এখনি শুরু করুন