বাংলাদেশের একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার একজন রোগীনিকে চুমু খেয়ে ইনফেকশন আছে কিনা পরীক্ষা করেছেন। সভ্য দেশ হলে ওই ডাক্তারের লাইসেন্স তো বাতিল হতোই, এতোক্ষন ডাক্তার সাহেব জেলে থাকতেন। ডাক্তার সাহেব যেই হাসপাতালে কাজ করতেন সেই হাসপাতালকে জবাবদিহি করতে হতো। আর সেই দেশের মেডিক্যাল এসোসিয়েশন কানে ধরে দেশবাসীর কাছে মাফ চাইতেন।

বাংলাদেশে ডাক্তার সাহেবের কিছুই হবেনা। উনি আবার রোগী দেখবেন, রোগীনিকে দেখে উনার শরীর জেগে উঠলে তিনি আবারো লাম্পট্য করবেন। হয়তো আর কখনো কোন রোগীনি ভয়ে আর লজ্জায় বাইরে কিছু বলবে না।

তাহলে আমাদের নারীরা কোথায় নিরাপদ? সহপাঠির কাছে নিরাপদ নয়, সহকর্মীর কাছে নিরাপদ নয়, বসের কাছে নিরাপদ নয়, রাস্তায় নিরাপদ নয়, গনপরিবহনে নিরাপদ নয়, আত্মিয়ের কাছে নিরাপদ নয়, ডাক্তারের কাছে নিরাপদ নয়, শিক্ষকের কাছে নিরাপদ নয়, ছাত্রের কাছে নিরাপদ নয়, উতসবে নিরাপদ নয়, নির্জনে নিরাপদ নয়। সম্ভবত এমন কোন নারী নেই বাংলাদেশে যে যৌন হয়রানির শিকার হয়নি।

এ কোন দেশ? এ কীসের *লের হাজার বছরের সংস্কৃতি?

এই চিত্র শুধু বাংলাদেশের নয় পশ্চিম বঙ্গেরও।

এই বাঙালি পুরুষেরা তার পৌরুষকে সেলিব্রেট করেনা তার যৌন অঙ্গ সর্বস্বতাকে সেলিব্রেট করে। তাই তার যৌনাঙ্গকে সে বলে "ধন" বা "সোনা" কারণ এটা তার কাছে এতোই গুরুত্বপুর্ণ।

যৌনাঙ্গ থাকলেই পৌরুষ থাকেনা, পৌরুষ একটি অর্জিত গুণ। প্রকৃত পুরুষেরা নারীকে সন্মান করে, তাঁকে রক্ষা করে অসন্মানের হাত থেকে।

মেধায়, যোগ্যতায়, সাহসে, বিক্রমে, উইটে, বিনয়ে, শরীরে প্রকৃত পুরুষ হয়ে উঠুন। প্রকৃত পৌরুষ অর্জন করেই আসুন আমরা বাংলাদেশে পদে পদে যৌন হয়রানির শিকার নারীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।

যৌন অবদমিত পারভার্ট বাঙালি পুরুষের বিরুদ্ধে বুক ঠুকে বাঙালির প্রকৃত পৌরুষ জেগে উঠুক।
Pinaki Bhattacharya

সহজ এফিলিয়েট

ঘরে বসে সহজ আয়

ফেসবুক চালাতে পারলেই আয় করতে পারবেন

এখনি শুরু করুন