"স্বয়ং আল্লাহতায়ালা হেসেছেন"।
‘আর তারা তাদেরকে নিজেদের উপর প্রাধান্য দেয় নিজেরা অভাবগ্রস্থ হ’লেও। যাদেরকে অন্তরের কার্পণ্য হ’তে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলকাম’ (হাশর ৫৯/৯)।
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একজন লোক রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, আমাকে ক্ষুধা পেয়েছে।অন্য বর্ণনায় এসেছে, আমি ক্ষুধায় কাতর। তিনি তার স্ত্রীদের নিকট (খাবারের সন্ধানে) লোক পাঠালেন। তারা বলল, ঐ সত্তার কসম যিনি আপনাকে সত্য সহ পাঠিয়েছেন, আমাদের নিকট পানি ব্যতীত অন্য কোন খাদ্য নেই। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আছে, যে এর মেহমানদারী করবে? আল্লাহ তার প্রতি দয়া করবেন। তখন আনছারী ছাহাবী /আবু তালহা (রাঃ) বললেন, আমি করব। অতঃপর তিনি তাকে সাথে নিয়ে তার স্ত্রীর নিকট গেলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহর (সাঃ) মেহমানকে সম্মান কর। কোন খাদ্য জমা রাখবে না। সে (স্ত্রী) বলল, আল্লাহর কসম! শিশুদের জন্য রাখা খাদ্য ব্যতীত আমাদের নিকট কোন খাদ্য নেই। তিনি বললেন, তোমার খাবার প্রস্ত্তত কর, বাতি জ্বালিয়ে দাও এবং তোমার সন্তানরা যখন রাতের খাবার খেতে চাইবে তখন তাদের ঘুম পাড়িয়ে দিবে। সে (স্ত্রী) খাবার প্রস্ত্তত করল, বাতি জ্বালালো এবং তার শিশুদের ঘুম পাড়িয়ে দিল।
অতঃপর তালহা (রাঃ) দাঁড়ালেন এবং বাতি ঠিক করার ছল করে তা নিভিয়ে দিল। অতঃপর তারা উভয়ে (অন্ধকারে) খাবার খাচ্ছেন বলে একে অপর কে প্রদর্শন করলো এবং উভয়ে ক্ষুদার্ত অবস্থায় রাত্রি যাপন করলেন। অতঃপর সকালে তারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট গমন করলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, গত রাতে মেহমানের সাথে তোমাদের উভয়ের কর্মকান্ড দেখে আল্লাহ হেসেছেন বা অবাক হয়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে উল্লেখিত আয়াতটি নাযিল হয়েছে ।
Habibullah Mullah
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
wahid1277
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?