যখন খুব বেশি কষ্ট হবে নিচের হাদীসটি স্মরণ
করবেন। সকল কষ্টের সমাধান আছে এতে।
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি একদা (সওয়ারীর উপর) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে (বসে) ছিলাম। তিনি
বললেন, “ওহে কিশোর! আমি তোমাকে
কয়েকটি (গুরুত্বপূর্ণ কথা শিক্ষা দেব (তুমি
সেগুলো স্মরণ রেখো)।
তুমি আল্লাহর (বিধানসমূহের) রক্ষণাবেক্ষণ কর
(তাহলে) আল্লাহও তোমার রক্ষণাবেক্ষণ
করবেন।
তুমি আল্লাহর (অধিকারসমূহ) স্মরণ রাখো, তাহলে
তুমি তাঁকে তোমার সম্মুখে পাবে।
যখন তুমি চাইবে, তখন আল্লাহর কাছেই চাও। আর
যখন তুমি সাহায্য প্রার্থনা করবে, তখন একমাত্র
আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা কর।
আর এ কথা জেনে রাখ যে, যদি সমগ্র উন্মত
তোমার উপকার করার জন্য একত্রিত হয়ে যায়, তবে
ততটুকুই উপকার করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ
তোমার (ভাগ্যে) লিখে রেখেছেন।
আর তারা যদি তোমার ক্ষতি করার জন্য একত্রিত
হয়ে যায়, তবে ততটুকুই ক্ষতি করতে পারবে
যতটুকু আল্লাহ তোমার (ভাগ্যে) লিখে
রেখেছেন।
=> √√কলমসমূহ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
খাতাসমূহ (ভাগ্যলিপি) শুকিয়ে গেছে।” (তিরমিযী
২৫১৬নং)
__
আমরা যখন আল্লাহর দেয়া বিধান মেনে চলিনা, হালাল
হারাম মানিনা তাহলে কি করে আমরা আল্লাহর ক্ষমা আশা
করতে পারি? আমরা কেবল তখনই আল্লাহর কাছ
থেকে ক্ষমা আশা করতে পারবো যখন কিনা আমরা
আল্লাহর হক্ব আদায় করবো। মহাবিশ্বের স্রষ্টার
কথা আমরা শুনবোনা কিন্তু তিনি আমাদের সকল অপরাধ
ক্ষমা করে দিবেন, এটা কোন যুক্তির মধ্যে
পড়েনা।
এই হাদীসের আরেকটি বিষয় খুবই ভারী।
আমাদের জীবনে সমস্যার শেষ নেই, কষ্টের
শেষ নেই। কিন্তু মুমিন ব্যক্তির জন্য সকল অবস্থাই
কল্যাণের। কিভাবে?
কারণ একজন মুমিন ব্যক্তি যখন কষ্টে পতিত হয়, বা
প্রিয় কিছু হারিয়ে ফেলে সে জানে এটা তার প্রভুর
পক্ষ থেকেই। তাক্বদীরের বাইরে গিয়ে সে
কিছুই পাবেনা। আর যা তার তাক্বদীরে আছে সেটা
পুরো দুনিয়ার মানুষ মিলেও কেড়ে নিতে পারবেনা।
বিশ্বজাহানের প্রভুর কাছ থেকে এটা একটা
ডিক্লিয়ারেশন। আমাদের সমাজে অনেকেই
আছে যারা কাছের মানুষ দ্বারা প্রতারিত হন। তখন
ভাবেন, আল্লাহ কেন আমার ভাগ্যে এটা রাখলো।
কিন্তু আমাদের কি এই নূন্যতম বিশ্বাস রাখা উচিত নয়
যে এই খারাপের মাঝেই ভাল কিছু আছে! এই
বিপদাপদ দিয়েই তো আল্লাহ মুমিন বান্দার গুনাহগুলো
দুনিয়াতেই কাটিয়ে দিচ্ছেন। কিংবা এই বিপদের উছিলায়
অন্য বড় কোন বিপদ কাটিয়ে দিচ্ছেন। কিংবা আল্লাহ
তায়ালা এই জন্য বিপদ দেন যাতে তার বান্দা দুনিয়ার
পিছনে ছোটা বন্ধ করে অনন্তকালের জীবন
নিয়ে একটু ভাবে। আমরা বড়ই অকৃতজ্ঞ। আমাদের
যখন সুখের সময় থাকে আমরা তখন প্রভুকে ভুলে
যাই। যে বিপদ, যে কষ্ট বান্দাকে প্রভুর কথা মনে
করিয়ে দেয় সেই বিপদ কি বান্দার জন্য কল্যাণকর
নয়!
সব কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে। কিন্তু আমরা
মানুষেরাই সেটা খুঁজে নেইনা। উলটা তাক্বদীরের
প্রতি অসন্তুষ্ট হই। উলটা ঈমানহারা হয়ে যাই।
মাঝে মাঝে আশেপাশের লোকের কটুক্তি
শুনে খারাপ লাগতেই পারে, সবর করুন। ক্ষমা করুন।
আর সেটা না পারলে আল্লাহ তো আছেন ই
বিচারের জন্য। আপনার সাথে হিংসা করে সে
কতোদিন সুখে থাকবে? আপনার ক্ষতি করে সে
কত বছর সুখে থাকবে? মৃত্যুর আগ পর্যন্তই তো!
কিন্তু তারপর?
জেনে রাখুন আল্লাহর পাকড়াও খুবই কঠিন।

সহজ এফিলিয়েট

ঘরে বসে সহজ আয়

ফেসবুক চালাতে পারলেই আয় করতে পারবেন

এখনি শুরু করুন