Translate   5 years ago

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “মুসলমানদের কে গালমন্দ করা ফাসেকী আর তাদের বিপক্ষে যুদ্ধ করা কুফরী।” (বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আবু যর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে যেন ফাসেক অথবা কাফের এর অপবাদ না দেয়। কেননা সে যদি প্রকৃতই তা না হয়ে থাকে তবে এই অপবাদ তার নিজের ঘাড়ে চেপে আসবে। (বুখারী)
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, পরস্পরকে গালি দানকারীর মধ্যে যে পূর্বে গালি দিয়েছে সে দোষী, যদি নির্যাতিত (প্রথম যাকে গালি দেয়া হয়েছে) ব্যক্তি পরিসীমা অতিক্রম না করে থাকে। (মুসলিম)
অর্থাৎ গালির পরিণাম/ফল তখনই প্রথম গালিদাতার উপর পতিত হবে যখন দ্বিতীয় ব্যক্তি প্রতিউত্তরে সীমালঙ্ঘন না করবে। আর যদি দ্বিতীয় ব্যক্তি প্রতিশোধ নিতে গিয়ে সীমালঙ্ঘন করে ফেলে তাহলে সেও গুনাহে জড়িয়ে পড়ল। প্রথম গালিদাতা এই জন্যে গুনাহগার হবেন যে, সে গালি শুরু করেছে। অর্থাৎ অন্যায়টা তার মাধ্যমে শুরু হয়েছে।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা বসিয়াছিলেন, তাহার উপস্থিতিতে এক ব্যক্তি হযরত আবু বকর সিদ্দিক (আঃ) উনাকে গালি দিলো। তিনি (ঐ ব্যক্তির বার বার গালি দেওয়া এবং হযরত আবু বকর সিদ্দিক (আঃ) উনার সবর ও খামুশ থাকার উপর) খুশী হইতে থাকেন এবং মুচকি হাসিতে থাকেন। অতঃপর যখন সেই ব্যক্তি অনেক বেশী গালিগালাজ করিল তখন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (আঃ) তাহার কিছু কথার জবাব দিলেন। ইহার উপর নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট হইয়া সেখান হইতে চলিয়া গেলেন।

  • Like
  • Love
  • HaHa
  • WoW
  • Sad
  • Angry