২২ বছরেও সালমান শাহর মৃত্যুর রহস্যজট খুলেনি
প্রয়াত নায়ক সালমান শাহের মৃত্যু আদৌ কীভাবে হয়েছিল, তা হত্যা কি না সে রহস্যজট ২২ বছরেও উন্মোচিত হয়নি। বর্তমানে তাঁর মৃত্যুর রহস্য নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
১৯৯৬ সালের এই দিনে জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ মৃত্যুবরণ করেন। সে সময় তাঁর বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই সালমানের বাবা তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে একটি অভিযোগ করেন।
ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিএমএম আদালত অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগটি একসঙ্গে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
পরবর্তী সময়ে একই বছরের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করে সিআইডি। একই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত সিআইডি পুলিশের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
সিআইডির দাখিল করা প্রতিবেদনে সালমানের বাবা সন্তুষ্ট না হয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করেন।
ওই রিভিশন মামলার ওপর শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটিকে ফের বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। এরপর প্রায় ১২ বছর ধরে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট সিএমএম বিকাশ কুমার সাহার কাছে মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তী সময়ে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে আরেকটি নারাজি দাখিল করেন। এর শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন। পরে ঢাকার বিশেষ জজ ৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস রিভিশন মঞ্জুর করেন।
এদিকে, তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, ‘প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহর মা নিলুফা চৌধুরী ওরফে নীলা চৌধুরীকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত সাক্ষী হুমায়ুন কবির, আবদুস সালাম, দেলোয়ার হোসেন শিকদার, আবদুল খালেক হাওলাদার, বাদল খন্দকার (চলচ্চিত্র পরিচালক), শাহ আলম কিরণ (চলচিত্র পরিচালক), মুশফিকুর রহমান গোলজার, এস এম আলোক সিকদার ও হারুন আর রশিদের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করি।’ তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া সাক্ষীদের ঠিকানা নির্ণয়ের জন্য জন্য কতিপয় সাক্ষীর স্থায়ী ঠিকানায় অনুসন্ধান স্লিপ ইস্যু করি। রুবির ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করি। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হয়েছে। এরই মধ্যেই মামলার সাক্ষী হিসেবে নতুন করে সালমানের মামা ও মায়ের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া এ মামলার আসামি রুবির দুটি ভিডিও বার্তা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। তবে দুই ভিডিও বার্তায় দুই রকম কথা বলেছেন রুবি।
আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তদন্তে একটু বিলম্ব হলেও আশা করছি তদন্ত সংস্থা সঠিক রিপোর্ট দিতে পারবে। এ মামলায় চাক্ষুস কোনো সাক্ষী নেই। চারপাশের সাক্ষী দিয়ে মামলাটি প্রমাণ করতে হবে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যার বিচারের ক্ষেত্রে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে।’
abdul kader
supprimer les commentaires
Etes-vous sûr que vous voulez supprimer ce commentaire ?
Sabiqunnahar
supprimer les commentaires
Etes-vous sûr que vous voulez supprimer ce commentaire ?
Md. Sabbir Ahmed
supprimer les commentaires
Etes-vous sûr que vous voulez supprimer ce commentaire ?
sk jafur
supprimer les commentaires
Etes-vous sûr que vous voulez supprimer ce commentaire ?
Habibullah Mullah
supprimer les commentaires
Etes-vous sûr que vous voulez supprimer ce commentaire ?