ক্লাসের প্রথম বেঞ্চে বসে থাকা স্টুডেন্টগুলো জীবনের এক প্রান্তে এসে প্রচন্ড মানসিক পেরেশানিতে ভোগে। পড়াশুনা ছাড়া বাইরে কোন জগত আছে তারা বুঝতেই চায় না। নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে থেকে বেরিয়ে যখন তারা চাকুরী বাকুরীর দিকে ছোটাছুটি করে সফলতা পায় এরপর নেমে আসে জীবনে মানসিক অন্ধকার। তারা এবার ভুগতে শুরু করে একাকীত্বে। না পারে কাউকে মুখ ফুটে বলতে আর না পারে নিজে সহ্য করতে! এ যেন মরণগীতির ছন্দমালা।
লাস্ট বেঞ্চের স্টুডেন্টগুলো ফাঁকিবাজী করতে করতে কোনমতে ও লেভেলে পর্যন্ত এসে ঝরে পড়ে। এরপর শুরু হয় চরম ছন্দপতন! বড় লোকের সন্তানেরা সিগারেট, নিকোটিনের ধোঁয়ার ধুসর করে ফেলে আপন জীবন। যার পরিণতি মৃত্যু থেকে কোন অংশে কম নয়। গরীব ঘরের সন্তানদের কথা আর কি বলবো! মেয়ে হলে পরের বাড়ি আর ছেলে হলে ইজিবাইক আর ইট টেনে জীবন পার করা হয় তাদের উপার্জনের একমাত্র হাতিয়ার।
ক্লাসের মধ্য দিকের বেঞ্চগুলোতে বসা স্টুডেন্টগুলোর জীবন হয় অনেকটা সংগ্রাম মুখর। তাদের বেশিরভাগ হয় মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। নিজের পড়াশোনা নিজে, রেজাল্টের জন্য যুদ্ধ আর মাঝেমাঝে জীবনকে কাছ থেকে দেখে এরা সত্যিই প্রচন্ড সাহসী হয়ে ওঠে। যদিও এদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী বিসিএস ক্যাডার হতে পারে তবে এদের মধ্যে বেশিরভাগই সুখের খাতায় নাম লেখানো ব্যক্তিত্ব।
kazi abdulali
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Mamun mia
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?