একবিংশ শতাব্দীতে এসে এমন মানুষও পাওয়া যাচ্ছে
*******************************************************
সর্বরোগের ওষুধ যখন ‘চেচুয়া বিল’ !
========================
এক ডুবেই সেরে যাবে যে কোন রোগ। হাজার মুশকিলের একমাত্র আসান এখন চেচুয়া বিল। আর এই বিলের ‘অলৌকিক’ পানি পান করলে নাকি সেরে যাবে সব রোগ। আর তাই আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা, প্রতিবন্ধী, মানসিক রোগীসহ নানা ধরনের নারী-পুরুষের আনাগোনা এখন এই চেচুয়া বিলে। এমন গুজবে কান দিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালের চেচুয়া বিলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো গুজবে হাজারো মানুষের তথাকথিত তীর্থস্থান এখন চেচুয়া বিল। এই বিলের পানি আর মাটি সর্বরোগের ওষুধ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে কে তা জানা নেই কারও, অথচ উৎসুক মানুষের ঢল থেমে নেই। বিলের পানি খেয়ে এরইমধ্যে অসুস্থ অনেকে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসনও। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশাসনিক কাজ ফেলে মাঠে নেমেছেন পরিস্থিতি সামালাতে।
এই বিলের পানি আর মাটি সর্বরোগের ওষুধ। ফেসবুকে এমন গুজবে গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো মানুষ ছুটে আসছেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায়। আগতদের বিশ্বাস এই বিলের কাদামাটি আর পানি খেলে পুরণ হয় মনোবাসনা।
এতে করে ওই বিলের পানি সংগ্রহ করতে মানুষের ঢল নেমেছে। রোগ ভাল হওয়ার আশায় নোংরা ও কাদাযুক্ত পানি পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে শিশুসহ কয়েকশ নারী-পুরুষ। তারপরও দলে দলে লোক আসছে, পরিবারের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন কাদাযুক্ত পানি।
ঢাকা থেকে আসা এক নারী বলেন, আমি ঢাকা থেকে আসছি। আমার বোনের কাছে কে যেনো বলছে এই বিলের পানি খেয়ে তার রোগ ভালো হয়েছে। আর এটি শুনেই আমি এখানে আসছি।
বিলের মাটি খাওয়া অবস্থায় এক মহিলাকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, পা নিয়ে হাটতে পারি না। শুনছি এই বিলের পানি আর মাটি খেলে সব রোগ ভালো হয়ে যায় তাই মাটি খাচ্ছি।
উৎসুক এক ব্যক্তি বলেন, এই বিলের পানিতে ডুব দিয়ে আমার মনের বাসনা বলছি। দেখি আল্লাহ তা পূরণ করে নাকি। এই বিশ্বাস থেকেই এখানে আসা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাকির বলেন, আমরা জনগনকে বুঝিয়ে এবং এটি একটি গুজব বলে এখান থেকে সরানোর চেষ্টা করছি। আর বুঝানো হচ্ছে এটা দিয়ে আসলে উপকার হবে না।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, এটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে ময়মনসিংহ হতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য আনা হবে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার চেচুয়া বিলের মাঝখানে ১০০ মিটার এলাকার কচুরিপানা হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। এ ঘটনায় এক শ্রেণির অসাধুচক্র প্রচার শুরু করে অলৌকিক কোনো শক্তি এসে কচুরিপানা সরিয়ে নিয়েছে। তাই এখানকার পানি পান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি সব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে পরদিন থেকে হাজার হাজার মানুষ রোগমুক্তির আশায় বিলের কাদাপানিতে ডুব দিচ্ছে। কেউ কেউ পেট পুরে খাচ্ছে বিলের দুর্গন্ধযুক্ত পচা পানি। আবার অনেকে বোতলে করে পানি নিয়ে যাচ্ছে।
যমুনা অনলাইন: আরএম

Md Nuralam
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?
Roksana Akter Kobita
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?
Noyon roy
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?
Md. Sabbir Ahmed
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?
MD Shamim Khan
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?
Md Romat
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?